দেশবরেণ্য সংগীতজ্ঞ উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া শাস্ত্রীয় তথা শুদ্ধ সংগীতের চর্চা, প্রচার ও প্রসারে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। তিনি অসংখ্য গুণী জ্ঞানী ছাত্র্তছাত্রী সৃষ্টি করেছেন যারা দেশে ও বিদেশে সুনামের সাথে সুপ্রতিষ্ঠিত। তিনি আরোহ অবরোহ রচয়িতা হিসেবে খ্যাত হয়েছেন যার গ্রহণযোগ্যতা সমগ্র দেশব্যাপী। তিনি ছিলেন একজন সংগীত শিল্পী, সংগীত গুরু, সুরকার, রচিয়তা ও নাট্যকার। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে গত ৯ মে শুক্রবার থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে তাঁর প্রতিষ্ঠিত সুরসপ্তক সংগীত বিদ্যাপীঠ কতৃর্ক আয়োজিত হয় আলোচনা সভা ও শাস্ত্রীয় সংগীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক রাশেদ রউফ। তিনি উস্তাদজীর সংগীত জীবন নিয়ে আলোকপাত করেন। অতিথি ছিলেন ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম, অধ্যাপক মৃণালিনী চক্রবতীর্। সভাপতিত্ব করেন ডা. দুলাল কান্তি চৌধুরী। স্মৃতিচারণ করেন শিল্পী মালবিকা দাশ, দোলন কানুনগো, অধ্যাপক সজল বড়ুয়া, অরুণ বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় শিল্পী তপু বড়ুয়া ও নির্মলেন্দু চৌধুরীকে। অনুষ্ঠানের ২য় অধিবেশন শুরু হয় বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীবৃন্দের সমবেত পরিবেশনার মাধ্যমে। পরে রাগে খেয়াল পরিবেশন করেন শিল্পী ফাল্গুনী বড়ুয়া। যুগলবন্দী পরিবেশন করেন গাজী আব্দুল হাকিম, শিল্পী দোলন কানুনগো।
পরিচালনায় ছিলেন সুরজিৎ সেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন এ্যানি চৌধুরী। শেষে সুরসপ্তক সংগীত বিদ্যাপীঠের বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।