ইসরায়েল সরকারকে যুদ্ধ থামিয়ে তাদের উদ্ধারের অনুরোধ জানানো জিম্মি নিহত

| রবিবার , ৭ এপ্রিল, ২০২৪ at ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

রাতভর গাজার দক্ষিণের শহর খান ইউনিসে অভিযান চালানোর সময় একজন পুরুষ জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। তার মৃতদেহ ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা সেটি ইলাদ কাৎজির বলে শনাক্ত করেছে। গত বছর ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলার সময় কিবুৎজ নির ওজ থেকে ৪৭ বছরের ইলাদ কাৎজির ও তার মা ৭৭ বছরের হানাকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। গত নভেম্বরে গাজায় ছয় দিনের যুদ্ধবিরতির সময় হামাস যে ১০৪ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হানা সে দলে ছিলেন। কাৎজিরের বাবাকে হামাস যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর হত্যা করে বলে জানিয়েছে আইডিএফ এবং আইএসএ (ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ)। খবর বিডিনিউজের।

বিবিসি জানায়, গত শুক্রবার রাতভর খান ইউনিসে অভিযান চালিয়েছে আইডিএফ এবং আইএসএ। দুই বাহিনীর পক্ষ থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, মৃতদেহটি অপহৃত ইলাদ কাৎজিরের, যাকে গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক জিহাদের হাতে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয়েছে। তার মৃতদেহ খান ইউনিস থেকে উদ্ধারের পর ইসরায়েলে নিয়ে আসা হয়েছে। কাৎজিরের মৃতদেহ শনাক্তের পর তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ‘গুরুত্বপূর্ণ’ গোয়েন্দাতথ্যের ভিত্তিতে কাৎজিরের মৃতদেহ খুঁজে বের করা হয়েছে বলেও ওই বিবৃতিতে জানানো হয়।

এ বছর জানুয়ারিতে ফিলিস্তিনি জঙ্গি দল ইসলামিক জিহাদ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল। যে ভিডিওতে গাজায় বন্দি থাকা অবস্থায় কাৎজিরকে কথা বলতে দেখা যায়। ওই ভিডিওতে কাৎজির চাপে পড়ে কথা বলেছিলেন নাকি স্বেচ্ছায় কথা বলেছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, তিনি একাধিকবার মৃত্যুর খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন। তিনি ইসরায়েলি সরকারকে যুদ্ধ থামিয়ে তাকে এবং অন্যান্য জিম্মিদের মুক্ত করে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বার বার বলতে থাকেন, তিনি তার পরিবারকে খুব ভালোবাসেন এবং তাদের কথা তার খুব মনে পড়ছে।

মিশর ও কাতারের উদ্যোগে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে গাজায় আরও একবার একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গত এক মাসের বেশি সময় থেকে এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও এখন পর্যন্ত সামান্য সফলতাও আসেনি। হামাস এমন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি চায় যা গাজা যুদ্ধের স্থায়ী অবসানকে নিশ্চিত করবে। অন্য দিকে, ইসরায়েল সে দেশে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তি চায়। কিন্তু দেশটি গাজায় তাদের অভিযান বন্ধ করতে আগ্রহী নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলে বন্যা উদ্ধার ১৫২
পরবর্তী নিবন্ধইসরায়েলে আক্রমণের প্রস্তুতি ইরানের, যুক্তরাষ্ট্রকে বলছে ‘সরে থাকতে’