ইসরায়েলিদের সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ালেন বাংলাদেশি পর্বতারোহীরা

| সোমবার , ১৩ মে, ২০২৪ at ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশি পর্বতারোহীদের একটি দল হিমালয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছে। ট্যুর গ্রুপ বিডি নামে ওই দলের সদস্যরা নেপালের থুরংলা গিরিপথে ওঠার পর ফ্রি প্যালেস্টাইন স্লোগান দেন। সুউচ্চ থুরংলা গিরিপথের উচ্চতা পাঁচ হাজার ৪১৬ মিটার। সেখানে পৌঁছাতে ১০ দিনের কঠিন পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে হয়। গিরিপথে প্রথম ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ান মো. সোলাইমান ও তামিম মুনতাসির। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন দলনেতা রাহি রাফসান। খবর বাংলানিউজের।

মুনতাসির বলেন, তারা ফিলিস্তিনের পতাকা সঙ্গে নিয়ে যান। তারা গিরিপথটির সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে ‘অন্নপূর্ণা’ সার্কিট ট্র্যাকের শেষ দিনে পতাকাটি ওড়ানোর পরিকল্পনা করেন। তিনি বলেন, সৌভাগ্যবশত আমরা ইসরায়েলের বড় একটি পর্বতারোহী দলের সামনেই পতাকাটি ওড়াতে পেরেছিলাম। এতে আমাদের পতাকা ওড়ানো এবং স্লোগান আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।

সোলাইমান উল্লেখ করেন, পতাকা ওড়ানোর সঙ্গে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে দেখে ইসরায়েলি দলটিকে খুব রাগান্বিত এবং হতাশ মনে হচ্ছিল। তিনি বলেন, এমনকি ইসরায়েলি পর্বতারোহী দলের একজন রেগে আমাদের দিকে আসেন। তবে তাদের দলের আরেকজন তাকে থামিয়ে দেন।

নেপালে পর্বতারোহণের অন্যতম জনপ্রিয় পথ অন্নপূর্ণা সার্কিট। ইসরায়েলসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের এটি আকৃষ্ট করে থাকে। বাধ্যতামূলক মিলিটারি সার্ভিসের ক্ষেত্রেও অনেক তরুণ ইসরায়েলিকে হিমালয়, ভারতসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ভ্রমণ করতে দেখা যায়। গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে ইসরায়েলি ভ্রমণকারী ও পর্যটকরা ক্রমবর্ধমানভাবে বাজে পরিস্থিতি এবং কখনো কখনো বিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে। স্টিভেন সোচোচেট নামে ইসরায়েলের এক পর্বতারোহী নেপালের কিছু স্থানে বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। থুরংলা ওঠার পথে তাকে ইসরায়েলহামাস যুদ্ধ নিয়ে আরেক ইসরায়েলি সঙ্গীর সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যাচ্ছিল।

সোচোচেট দৃঢ়ভাবে বলছিলেন, এটিকে আর যুদ্ধ বলা যাবে না, কারণ ইসরায়েল মূলত পুরো বিশ্বের সামনে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে। তার দলের অন্য সঙ্গী বলছিলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষা এবং হামাসের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার আছে।

ট্যুর গ্রুপ বিডির দলনেতা রাফসান ইসরায়েলি সোচোচেটের সঙ্গে পর্বতারোহণে ছিলেন। তিনি ইসরায়েলি এ পর্বতারোহীর অবস্থান দেখে বিস্মিত হন। রাফসান বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারিনি যে, ইসরায়েলি এক নাগরিক এমনটি বলছেন। তখন আমি বুঝতে পারি, যেকোনো বিবেকবান ব্যক্তি গাজায় ইসরায়েলের চালানো গণহত্যার নিন্দা জানাবেন। অবশ্যই ইসরায়েলে বিবেকবান মানুষ রয়েছে।

তিনি বলেন, আমি জানি না, সংহতি প্রকাশ কিংবা ইসরায়েলি জনগণকে লজ্জা দেওয়া এ গণহত্যা বন্ধ করবে কিনা। কিন্তু এটি অন্তত আমরা করতে পারি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাসপাতালে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা
পরবর্তী নিবন্ধপিবিআইয়ের চার্জশিট গ্রহণ করেছে আদালত