ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকার মধ্যস্ততায় সৌদি–ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রয়াসের ব্যাপারে পূর্বের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করছে সৌদি আরব। বার্তা সংস্থা এএফপি সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাচ্ছে–ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের উদ্যোগ আপাতত স্থগিত রাখবে সৌদি আরব। খবর বাংলানিউজের।
এই সংঘাত সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বাধ্য করেছে। পুরো অঞ্চল জুড়ে সহিংসতার ব্যাপক বৃদ্ধি রোধ করার চেষ্টা হিসেবে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে প্রথমবারের মত ফোনালাপ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে রয়টার্স জানাচ্ছে, সৌদি–ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মার্কিন–সমর্থিত আলোচনায় বিলম্ব হবে। রিয়াদ ইসরায়েল সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিনিময়ে আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে চায়। হামাসের হামলার আগ পর্যন্ত ইসরায়েল এবং সৌদি উভয় বলে আসছিলেন যে তারা একটি চুক্তির দিকে অবিচলিতভাবে অগ্রসর হচ্ছে যা মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন আকার দিতে পারে। যদিও সৌদি আরব কখনোই ইসরায়লকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আরব দেশগুলোর সাথে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে সম্পাদিত আব্রাহাম চুক্তিতে বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো অংশ নিলেও চুক্তিতেও অংশ নেয়নি সৌদি আরব। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে গত কয়েক মাস ধরে সৌদি আরবকে চাপ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ওয়াশিংটনের কাছে বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি হাতে নেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত চায় মোহাম্মদ বিন সালমান।