প্যারিস অলিম্পিকে জিততেই হবে, এমন এক ম্যাচে আর্জেন্টিনা ইরাককে উড়িয়ে দিয়েছে ৩–১ ব্যবধানে। ফ্রান্সের রোদ ঝলসানো দিনে আর্জেন্টিনার শুরুটাও হয়েছিল দুর্দান্ত। শুরু থেকেই আকাশী–সাদাদের আধিপত্য ছিল চোখে পড়ার মতোই। আর্জেন্টিনার পক্ষে আলমাদাই প্রথম নাম তোলেন স্কোরশিটে। বামপ্রান্ত থেকে আসা বলটা হুলিয়ান আলভারেজ ঠিকঠাক রিসিভ করতে পারেননি। কিন্তু তার আলতো টাচই আলমাদার জন্য ছিল যথেষ্ট। ফাঁকায় দাঁড়ানো এই মিডফিল্ডার ভাসানো বলে নিলেন দুর্দান্ত এক কিক। জোরালো সেই শট ঠেকাবার সাধ্য ছিল না ইরাকি গোলরক্ষকের। ৪১ মিনিটে আরও একবার গোলের কাছাকাছি চলে যায় আর্জেন্টিনা। এবারও আলভারেজ–আলমাদা জুটির কল্যাণে। যদিও আর্জেন্টাইন নাম্বার টেনের নেয়া শট চলে যায় বাইরে দিয়ে। যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরে ইরাক। দুর্দান্ত এক ক্রসে ইরাককে গোল এনে দেন আইমান হুসেইন। ১–১ সমতায় দুই দল ফেরে টানেলে। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের লাগাম পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় হাভিয়ের মাশ্চেরানোর শিষ্যরা। একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত রাখেন হুসেইন হাসানকে। ৬০ মিনিটে মাশ্চেরানো দলে আনেন তিন বদল। এখানেই ঘুরে যায় ম্যাচের ভাগ্য। ৬০ মিনিটে বদলি নামা কেভিন জেনন বঙে ফেলেছেন মাপা ক্রস। তাতে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন একইসময়ে বদলি হিসেবে নামা লুসিয়ানো গুন্দো। বদলি নামার ২ মিনিটের মাঝে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন এই দুই তরুণ। গুন্দো ও জেননের সংযুক্তি আর্জেন্টিনাকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয়সূচক গোলটাও এসেছে জেননের সৌজন্যে। জটলার মাঝে বল পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরেই সেটাকে বাইরে ঠেলে দেন। ইগ্নাসিও ফার্নান্দেজের দূরপাল্লার শট আর্জেন্টিনাকে এনে দেয় তৃতীয় গোল।