একখণ্ড আকাশ। বৃষ্টি ঝরিয়ে সোনালি, ছাইরঙা, ধূসর, নীল রঙে সজ্জিত। ব্যাপারটা এমন যে, টাইডাই করা পোশাক যেরূপ সেরকমই জমকালো! আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে পুরো আকাশকে জড়িয়ে ধরার আকাঙ্ক্ষা তীব্র আকারে ধারণ করেছে মনে! হয়তো আকাশ ভেংচি কেটে নগণ্য আমার তামাশা দেখছে গোগ্রাসে! ছাদ বাগানের পুদিনা পাতা, পুঁই পাতা, ঢেঁড়শ গাছ, আঙুর গাছগুলো আমার সাহেবীপনা ইচ্ছেগুলোর অর্থ বুঝে লজ্জায় মুখ লুকায়! খুব করে আকাশ ছুঁতে ইচ্ছে করা আমি মুহূর্তেই নিজেকে মাটির উপরে দাঁড়িয়ে থাকা দালানের ছাদে আবিষ্কার করি।
সেই ছোটবেলা থেকে একটা অভ্যেস কিছুতেই যাচ্ছেনা আমার! ভালোলাগাগুলো বড়ই বেসামাল। হিসেবের ঘরকে কখনোই জীবনের অঙ্ক ভাবিনা। যা দিই নিঃস্বার্থভাবেই দিই। পাওয়ার আশায় যবনিকা রচি না। ভালোকে ভালো বলার অসীম সাহস খুব কম জনের হয়! সত্যকে বুকে আগলে রাখার প্রাণান্ত চেষ্টায় অবিরাম পথ চলি। মুখোশের আড়ালে যে বিশ্রী, বেপরোয়া রূপ থাকে…তাকে চোখে দেখেও ভান করি বেবুঝের! নিঃশ্বাস ছাড়ি আর ভাবি, এইতো চলছি! হয়তো থামবে চলা একদিন। ভিতরের সত্তাটাকে মনে মনে যত্ন করে গুছিয়ে রাখি। মিথ্যা মোহ, অসংস্কারকে পায়ে ঠেলে বারবার হেরে গিয়ে জিতি! এভাবেই কাটছে যাপন। আসছে দিন আরো দুর্দিন হয়তো! তাও সান্ত্বনা। আমার আকাশসম ইচ্ছেগুলো পুরো জীবন জুড়ে আমাকে হারাবে না! ইচ্ছের ব্যপ্তি ক্ষণস্থায়ী! আমার লাল, নীল, গোলাপী ইচ্ছেরা জং ধরে আবার সজাগ হয়। আমার আমিটাকে ভালোবেসে আমাকেই পথ আগলায়।