রাশিয়া যে কোনও সময় ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে পারে এবং হামলার জন্য আকস্মিকভাবে অজুহাত তৈরি করতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার ন্যাটো অঞ্চলের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে ওয়াশিংটন একথা বলেছে। ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনাসমাবেশ ঘটিয়েছে রাশিয়া। সংকট নিরসনে ওয়াশিংটন কূটনীতির দ্বার খোলা রাখলেও তাতে সফলতা আসেনি। খবর বিডিনিউজের। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, রাশিয়া যে ইউক্রেনে হামলার পরিকল্পনা করছে, সেই প্রমাণ বেশ স্পষ্ট। স্কটল্যান্ডে এক সফরে তিনি বলেন, ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটছে এবং অন্য সব ধরনের লক্ষণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, জোর প্রস্তুতি চলছে। জনসন বলেন, পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক এবং জটিল। তবে প্রেসিডেন্টের সরে আসার সময় এখনও আছে। তিনি রাশিয়াকে আরও আলোচনার জন্য আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বিপর্যয়কর আগ্রাসন এড়ানোর ডাক দেন। ইউক্রেন সংকট নিয়ে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টায় বিশ্বের দেশগুলোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সরে আসবে এমন কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট। যুক্তরাষ্ট্র বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন আসন্ন। আর রাশিয়া এমন কোনও পরিকল্পনা থাকার কথা অস্বীকার করে বলে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো ভীতি ছড়াচ্ছে। ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, এখন যে কোনও দিন আগ্রাসন শুরু হতে পারে। রাশিয়া আকস্মিকভাবে কোনও ভুয়া অভিযান চালাতে পারে। আর একে তারা ইউক্রেনে আগ্রাসনের অজুহাত বানাতে পারে জানিয়ে সুলিভান বলেন, সেই সুযোগ যাতে রাশিয়া না পায় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকে গোয়েন্দা তথ্য জানাতে থাকবে।