করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার জন্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। কিন্তু এবারের লকডাউনে জনগণের তেমন সাড়া নেই। যার কারণে করোনা ভাইরাসের প্রভাব বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে ততই জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা হ্রাস পাচ্ছে যা উদ্বেগজনক। তাছাড়া বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ বেডের সংকট। জনগণ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করে সেজন্য সরকারের এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা উচিত। এবারের লকডাউনে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে-খাওয়া মানুষ অর্থাৎ যারা দিন আনে দিন খায়। এমনিতেই করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কাজের তেমন চাহিদা নেই। সরকার ব্যবসায়ীদের জন্য কয়েক মাস পূর্বেই প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তাদের এ প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। ফলে তারা পূর্বের ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সেজন্য এবারের লকডাউনে তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ,প্রতিবাদ করেছে।
ঈদ উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা আশা করেছিল পূর্বের ক্ষতি কিছুটা হলে ও তারা পুষিয়ে নিতে পারবে কিন্তু সে আশায় যেন গুড়েবালি। দোকানপাট খুললেও গণপরিবহন বন্ধ। লকডাউনের জন্য প্রত্যেকটি সেক্টরের কর্মজীবী মানুষ বেকার। ফলে তারা দিশেহারা কিভাবে আগামী দিনগুলো অতিবাহিত করবে। তাই সরকারের কাছে আহবান থাকবে আর নয় লকডাউন। লকডাউনের বিকল্প ভাবতে হবে। প্রয়োজনে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউন ঘোষণা করা হোক।
ফজলে রাব্বি
শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
ঢাকা কলেজ, ঢাকা।