চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে আনুষ্ঠানিক প্রচারণার ১৩তম দিনে নগরীর পাথর ঘাটা, বক্সিরহাট ও দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
গনসংযোগকালে তিনি নগরবাসী সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন এবং বিভিন্ন পথসভায় ভোটারদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, “চাক্তাই খাল ও কর্ণফুলিকে ঘিরে বাংলাদেশের খাদ্য শস্য বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠা চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বক্সিরহাট এলাকার জন্য চাক্তাই খাল ভরাট হয়ে দুঃখের কারন হয়ে ওঠলে আমি প্রথম চাক্তাই খাল খননের জন্য সংগ্রাম কমিটি গঠন করেছিলাম। চলমান মেগাপ্রকল্পের মাধ্যমে সে সংকট অচিরেই দূর হবে।”
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মেয়র পদে নৌকায় ভোট চেয়ে আরো বলেন, “নির্বাচিত হলে আমি যানজট, জলজট, মাদক, সন্ত্রাস ও দুর্ণীতিমুক্ত, স্বাচ্ছন্দ্যময়, বাণিজ্যবান্ধব, নান্দনিক স্মার্ট সিটি গড়তে ব্যবসায়ী সংগঠনসহ সকল শ্রেণী পেশার লোকের পরামর্শ নিয়ে কাজ করব। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দিন বদলের সনদ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার জানালে তরুণ প্রজন্মের ভোটার একে স্বাগত জানায় এবং অকুন্ঠ সমর্থন ও ভোট দিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করতে অগ্রণী অবদান রাখে। কিন্তু যারা মুলত দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি, তারা দেশের উন্নয়নেও বিশ্বাসী নয়। তারাই ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে টাট্ঠায় মেতেছিল। অতীতেও তারা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশ বিক্রি হয়ে যাবে, মসজিদে উলুধ্বণি হবে ইত্যাদি বলে দেশের মানুষের সাথে ধোকাবাজি করেছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা ১২ বছর ক্ষমতায়। দেশ বিক্রি হয়নি বরং দেশের ভূ-সীমা বেড়েছে। সমুদ্র সীমা বেড়েছে দ্বিগুণ। কোনো মসজিদে উলুধ্বনি কেউ শোনেনি বরং শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটি উপজেলায় আধুনিক মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং মসজিদের ইমামদের সরকারি ভাতা ও সম্মানি প্রদান করছে। সকল ধর্মের ও মতের লোক যাতে নির্বিবাদে তাদের নিজ নিজ ধর্ম প্রতিপালন করতে পারে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত অনুদানে ধর্মীয় শিক্ষা চালু করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তব। ব্যবসায়ীদের এখন ব্যাংকিং কাজে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়াতে হয় না। স্কুল ও কলেজে ভর্তি আবেদন, পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন, ফরম ফিলাপ ফি প্রদান ইত্যাদি এখন করা যায় ঘরে বসে। ধনী-গরীব সকলেই মোবাইল ব্যবহার করতে পারে। বিএনপি নেতার এক লক্ষ, দেড় লক্ষ টাকার সিটি সেল মোবাইলের দিন বদলে দিয়ে সর্বনিম্ম ৫০০টাকায়ও মোবাইল এসেছে বাজারে। যারা সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের তথ্য পাচার হবে বলে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি থেকে বাংলাদেশকে দুরে সরিয়ে রেখেছিল, তাদের একজন চট্টগ্রামকে ওয়াই ফাই নগরী গড়তে চায়। তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, তিনি আওয়ামী লীগের ডিজিটালাইজেশন বুঝতে শুরু করেছেন। জনগণ বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নেবেন, কারা অংগীকার করে রাখার জন্য আর কারা করে ভাঙ্গার জন্য। মিথ্যাচারীদের বলি, তরুণ প্রজন্ম জেগে আছে। তারা বলে, আর নয় ধোকা বাজি এবার শুধু নৌকাবাজি।”
গণসংযোগকালে রেজাউল করিমের সাথে উপস্থিত ছিলেন মহনগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহ সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুখ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আবু তাহের, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক চন্দন ধর, কাউন্সিলর পদপ্রার্থী চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাজী নুরুল হক, মো. জাবেদ, পুলক খাস্তগীর, লুৎফুন্নেসা দোভাষ বেবী, রুমকি সেনগুপ্ত, মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সহ থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।