পেনশন মঞ্জুরির ফাইল আটকিয়ে ঘুষ গ্রহণের আরও একটি মামলায় বিটিসিএল চট্টগ্রাম কার্যালয়ের দুই কর্মচারীকে ৯ বছরের কারাদণ্ড, ৯০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন, বিটিসিএল নন্দনকান কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মো. গিয়াস উদ্দিন ও টেলিফোন অপারেটর মো. হুমায়ুন কবির। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আবদুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় দুজনই কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। দুদক পিপি মুজিবুর রহমান আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পৃথক দুটি আইনে ধারায় তাদের দুজনকে এ সাজা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মো. গিয়াস উদ্দিনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড, দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপর আসামি আসামি মো. হুমায়ুন কবিরকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ১ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় ১ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালতসূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট নগরীর নন্দনকানন এলাকায় থাকা বিটিসিএল, চট্টগ্রাম কার্যালয়ে পেনশন মঞ্জুরির ফাইল আটকিয়ে কার্যালয়ের উপ–সহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম ভূইয়ার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে তাৎক্ষণিক অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাব্বির রহমান। উক্ত অভিযানে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হাতে নাতে গ্রেপ্তার হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় ঘুষের ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ও ৮৩ লাখ টাকার এফডিয়ারের কাগজপত্র। এ ঘটনায় দুদক, চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সাবেক উপ–সহকারী পরিচালক মানিক লাল দাশ বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে গত ১৬ মে একটির রায় ঘোষণা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলা দায়ের পরবর্তী দুদক, চট্টগ্রাম–১ কার্যালয়ের উপ–পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন মৃধা মামলা দুটির তদন্তের দায়িত্ব পান। তদন্ত শেষে তিনি বিটিসিএল কর্মচারী মো. গিয়াস উদ্দীন ও মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। পরবর্তীতে এ চার্জশিটের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।