আমার কাছে না করে দাবি সরকারের কাছে করুক : মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৬ মার্চ, ২০২৩ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

গৃহকর নির্ধারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এসেসমেন্ট বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামের সুশীল সমাজ, কোনো বুদ্ধিজীবী এবং করদাতা আন্দোলন করছে না বলে দাবি করেছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী এবং করদাতা এটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। কিছু স্বার্থন্বেষী মহল সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রামের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ও তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে অযৌক্তিক দাবি তুলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু মানুষ তাদের কথা বিশ্বাস করছে না। তাদের দাবির দিকেও নজর দিচ্ছে না। মানুষ চায় ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে আসুক। আপিলে সেটা পূরণ হওয়ায় তারা খুশি।

বাড়ি ভাড়ার ভিত্তিতে নির্ধারিত বর্তমান এসেসমেন্ট বাতিল করতে হবে’চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের এ দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মেয়র। গতকাল করদাতা সুরক্ষা পরিষদের নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি দিয়ে চলে যাওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মেয়র।

ভাড়ার পরিবর্তে দৈর্ঘ্যপ্রস্থের ভিত্তিতে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের দাবি মানার সুযোগ আছে কীনা জানতে চাইলে মেয়র বলেন, করবিধি১৯৮৬ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন করেনি। সরকার করেছে। তাই উনারা (সুরক্ষা পরিষদ) সরকারের কাছে দাবি করতে পারে। সারা দেশের সবগুলো সিটি কর্পোরেশনে একই নিয়মে কর আদায় করা হচ্ছে, চট্টগ্রাম তার ব্যতিক্রম নয়। তাই তারা তাদের দাবি আমার কাছে না করে সরকারি পর্যায়ে করতে পারে। এরপর মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দেবে তা সবগুলো সিটি কর্পোরেশন মানবে।

করদাতা সুরক্ষা পরিষদের চাওয়া তাদের দাবি তাদের পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিবেন কীনা জানতে চাইলে মেয়র বলেন, অবশ্য তা আমি পারি। তবে চট্টগ্রামের কোনো সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী এবং করদাতা এটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না।

মেয়র বলেন, ২০১৭২০১৮ সালে যখন এসেসমেন্ট হয় তখন আমি দায়িত্বে ছিলাম না। ওই এসেসমেন্টের বিরুদ্ধে তৎকালীন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ আপত্তি জানায়। যার ফলে সরকার স্থগিত করে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর সেটা কার্যকর করতে বলে। আপিল বোর্ডের মাধ্যমে যেটা বেড়েছে তা কমানোর সুযোগ আছে। আলাপআলোচনা করে সহনীয় করা হচ্ছে। মানুষ হাসিমুখে ঘরে ফিরছে। প্রথমদিকে মানুষ আতংকিত হয়ে গিয়েছিল। শেষে যখন তারা দেখল সহনীয় পর্যায়ে আসছে তখন তাদের মধ্যে শান্তির ভাব চলে আসে।

স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেয়র বলেন, আমি চিঠি পাঠাতে বাধ্য। কারণ ট্যাক্স ছাড়া কোনো নগরী চলতে পারে না। এটা আমিআপনি সবাই বুঝি, এরপরও প্রশ্নের খাতিরে প্রশ্ন করা যায়। ট্যাক্স স্থগিত রেখেছে সেটা চালুর জন্য আমি অবশ্যই চিঠি পাঠাব। আপনাদের বিবেচনায় আনতে হবে, ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে আসছে কীনা। জনগণের যাতে ভোগান্তি না হয় সে জন্য সহনীয় করছি। এটা অনেকটা বিড়াল সাদা না কালো বিবেচ্য না, বিড়াল ইঁদুর ধরছে কীনা সেটা বিবেচ্য।