আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমাদের ছেলে-মেয়েরা আরো বিকশিত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে এভাবেই তারা একদিন চূড়ান্ত উৎকর্ষতা অর্জন করে বিশ্বকাপে প্রতিযোগিতা করতে সক্ষম হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে প্রাইমারি থেকে যে খেলাধূলার শুরু হয়েছে সেখান থেকে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়-আমি মনে করি, এই প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়েই একদিন আমরা বিশ্বে খেলাধুলায় উন্নত হতে পারবো। গতকাল বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের সমাপনী ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসস ও বিডিনিউজের।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মাদক, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাস চাই না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। উন্নতিতে এবং প্রগতিতে বিশ্বাস করি। আমি জানি, শিক্ষাদীক্ষা, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক চর্চার মত বিষয়গুলোয় সবসময় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা লাগে, পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এগুলো কখনও বিকশিত হয় না। শিশু বা কিশোর বয়স থেকে খেলাধুলা বেশি করলে মন বড় হবে, শরীর ভালো থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মনে করি, এই যে চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য একের সঙ্গে অপরের যে প্রতিযোগিতা এই প্রতিযোগিতাই আমাদের যুব সমাজ ও ছেলেমেয়েদের দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে, নিজেদেরও আত্মশুদ্ধি হবে এবং তারা সুন্দরভাবে বাঁচবে।
ঢাকায় বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়ে পুরস্কার বিতরণের এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে প্রাইমারি থেকে যে খেলাধুলা শুরু হয়েছে সেখান থেকে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়, আমি মনে করি, এ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই একদিন আমরা বিশ্বে খেলাধুলায় উন্নত হতে পারব। ঢাকায় আর্মি স্টেডিয়ামে বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের সমাপনী অনুষ্ঠানে পদকজয়ীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যদিও বিশ্বকাপ হচ্ছে (বিশ্বকাপ ফুটবল) আমাদের কোনো অবস্থানই নাই। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা বিশ্বকাপ আসরে কবে খেলবে, বিশ্বকাপের খেলা টেলিভিশনে দেখার সময় তিনি এমনটিই ভাবেন বলে অনুষ্ঠানে জানান।
দেশের ১২৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৮৫০ জন মেয়েসহ প্রায় ৬ হাজার ৯৫০ জন তৃতীয়বারের মত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ফুটবল, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিঙ, ভলিবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, কাবাডি ও দাবাসহ ১২টি ইভেন্টে সেরাদের দেওয়া হয় ৭২০টি পদক। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মেয়েরা সাফ গেমস, এশিয়ান গেমসসহ বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ফুটবল টুর্নামেন্টে, ক্রিকেটে পারদর্শিতা দেখাচ্ছে। তার আশা ছেলেরাও একদিন পারবে। সেজন্য তার সরকার আট বিভাগে বিকেএসপির শাখা করছে, যাতে সব ইভেন্টে খেলোয়াড়রা উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ পুনর্গঠনকালে প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবন করেই প্রশিক্ষণের জন্য সে সময় জার্মানি, ভারতসহ অন্যান্য দেশে খেলোয়াড় পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আনেন।
তার সরকারও খেলাধুলার বিভিন্ন শাখায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে এবং আরও সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, সীমিত সুযোগের মধ্যেও সরকারের এক্ষেত্রে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং সীমিত সুযোগের মধ্যেও আমাদের ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট ভাল করছে এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো করবে।