আব্বাকে সদ্য স্বাধীন দেশ মনে হয়;
ভাঙাচোড়া, বিধবস্ত।
প্রতিদিন ভোর সকালে যে ক্লান্ত, নুব্জ
একটা ছায়া শরীর নিয়ে
বেরিয়ে পড়ে সেলাই কলের উদ্দেশ্যে
কিন্তু জোড়াতালি দিয়ে কোনমতেই
ঢাকতে পারে না কোন দীনতা।
আব্বার কাঁপা হাতে সেলাই হয় না
সন্তানের ক্ষুধার্ত মুখ
কিংবা মায়ের ছেড়া শাড়ির আঁচল।
আম্মার সে আঁচলে পূর্ণিমার আলো
গোল হয়ে বসে থাকে আর আমাদের
হাভাতে মুখ আরও হা হয়ে ওঠে
যেন সমস্ত আলো গোগ্রাসে খেয়ে ফেলবো।
অথচ আমাদের সমস্ত অপেক্ষার দিন শেষে
রাত্রির সকল অন্ধকার মুখে নিয়ে
আব্বা আরো ন্যুজ্ব হয়ে ঘরে ফিরে আসে।
তার বাজারের ব্যাগ ফুটো
ছিদ্র গলে পালিয়ে গেছে আমাদের আনন্দ আয়োজন।