সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরুর আগে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে নিজেদের শক্তি অর্জনের পরেই আন্দোলনে যাওয়ার পরামর্শ এসেছে বিএনপির ধারাবাহিক বৈঠকে। তিনদিনের বৈঠকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্র দলের মতো অঙ্গসংগঠনগুলো ‘দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি’ গঠনের জন্য নেতারা এমন তাগাদা দেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। খবর বাংলানিউজ।
তিনটি ধারাবাহিক মিটিংয়ে কি কি পরামর্শ এসেছে প্রশ্ন করা হলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা সময়মতো জানতে পারবেন। আমরাই আমাদের প্রয়োজনে আপনাদেরকে জানাবো। গত বৃহস্পতিবার রাতে দলের তৃতীয় দিনের ধারাবাহিক বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, দলের কর্মকৌশল ঠিক করতে মাঠ পর্যায়ের নেতাদেরও মতামত নেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আমাদের তিনটি সভা হলো-এটা আজকে শেষ। শনিবারে (আজ) আমাদের স্থায়ী কমিটির মিটিং আছে। সেই মিটিংয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো যে, আরো কয়েকটি সভা করবো কিনা। কারণ আমাদের এখনো কিছু কার্যনির্বাহী সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় বাকি রয়েছে। তাদের মতামত এবং জেলা পর্যায়ের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিদের নিয়ে মিটিং করার কথা আছে।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সাড়ে ৪ ঘণ্টা এই বৈঠক হয়। গত মঙ্গলবার এই বৈঠক শুরু হয়েছিল যা গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়। এই তিন দিনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শেষ দিন দলের অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মকৌশল ঠিক করার লক্ষ্যে নেতাদের মতামত জানতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই বৈঠক ডেকেছেন।