ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উন্নয়নের জন্য সরকার ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। গতকাল বুধবার নগরীর দামপাড়ায় জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ও কমপ্লেক্সে ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম এবং সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি রক্ষায় তাঁর অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইসলামের প্রচার-প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অবদান অনেক। এ সরকার মসজিদ-মন্দিরের যে উন্নয়ন করেছেন তা কল্পনাতীত। ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলমান। আগামী রমজানের আগে ৫০টি মডেল মসজিদ একযোগে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা সেতুর পরে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ প্রকল্প দ্বিতীয় বৃহৎ।
তিনি বলেন, করোনাকালীন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশে ইসলামের প্রকৃত পরিচর্যাকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁরই যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের যথাযথ উন্নয়ন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় আসীন করেছেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আইসিটি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী এমপি, ধর্ম সচিব মো. নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, ইফার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ফারুক আহম্মেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাকির হোসেন খান, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ও কমপ্লেঙের প্রকল্প পরিচালক মো. ইদ্রিছ, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য দেন ইফার বিভাগীয় পরিচালক বোরহান উদ্দিন মো. আবু আহসান। কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ ক্বারী মাওলানা গোলাম কিবরিয়া। নাতে রাসুল (সা.) পরিবেশন করেন মাওলানা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।