শিক্ষক মানেই একটি সম্মানিত শব্দ। শিক্ষক হলো জ্ঞানের ভাণ্ডার এবং সব মানবিক গুণের অধিকারী। আমাদের মানব জীবনে শিক্ষকের গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা ভাষায় প্রকাশ করার অবকাশ রাখে না। একজন আদর্শ শিক্ষক শুধু সুকৌশলে পাঠদানই করেন না, ছাত্রদের গভীর পর্যবেক্ষণ করে তাদের ভেতরের সুপ্ত প্রতিভাকেও জাগিয়ে তোলেন। একজন শিক্ষকের হাতেই গড়ে উঠে কত শত প্রতিভাবান ছাত্র, গড়ে উঠে ডাক্তার ইন্িজনিয়ার, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী, সমাজসেবক অর্থাৎ আগামীর ভবিষ্যৎ। কোনো প্রাণী যেমন মেরুদণ্ড ছাড়া সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, ঠিক তেমন ভাবেই কোনো জাতি শিক্ষকদের শিক্ষা ছাড়া সভ্যতা বা সফলতার শেখরে পৌঁছতে পারে না। যে জাতি যত বেশি সুশিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত ও সমৃদ্ধ। একটি শিশু পৃথিবীতে আসার পর থেকে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে যেমন স্নেহ ভালোবাসা পেয়ে বড় হয় তেমন সে শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ লক্ষ্যে পৌঁছাতে শিক্ষকেরা আলোর দিশারী হয়ে কাজ করেন। একজন আদর্শ শিক্ষক সত্যিই একটি ছাত্রের ভবিষ্যৎ উজ্জল করতে সফল হন এবং তার বাস্তব প্রমাণ হিসেবে আমি নিজেও বটে। আমি আমার ছাত্র জীবনে এমন কয়েকজন আদর্শ শিক্ষকের ছায়াতলে ছিলাম যারা আমাকে পদে পদে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে। আমার স্কুল জীবনের শিক্ষকরা, কলেজ জীবনের শিক্ষকরা এবং বর্তমানে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা আমাদের ভবিষ্যৎকে আরো সমৃদ্ধশালী করে তোলার প্রাণপণ চেষ্টায় করে চলেছেন। আমাদের ক্যম্পাসের ভেতরে ঢুকেই স্যার, ম্যাডামদের সালাম দিতেই তাঁদের মায়াজড়ানো কণ্ঠে বলেন ‘মা কেমন আছো তুমি, ঠিক ভাবে পড়াশুনা করছো তো? ভালো রেজাল্ট হওয়া চাই মন দিয়ে পড়াশুনা করো’
বিশেষ করে আমার প্রিয় কাওসার ম্যাডাম আমাকে একটি কথা সবসময় বলেন ‘পড়াশুনার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা করবে বই পড়বে আমাদের কলেজ লাইব্রেরী রয়েছে ক্লাস শেষে সেখানে প্রতিদিন কিছুটা সময় করে নানান লেখকের বই পড়বে তাহলে তোমার জ্ঞান আরো বৃদ্ধি পাবে। সত্যি আমি আমার এমন আদর্শ শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে কৃতজ্ঞ তাঁদের জন্যই আমি পৃথিবীর অজানাকে সহজ ভাবে জানার সুযোগ পেয়েছি, শিখতে পারছি আরো কত কী। শিক্ষকদের কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমেই গড়ে উঠে একটি শিক্ষিত জাতি। প্রকৃত মানুষ গড়ার কারিগর আমাদের মহান শিক্ষকদের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রণাম।