বাংলাদেশের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে কিছু কিছু কর্পোরেট হাউজ। বাংলাদেশে তাদের শত শত কোটি টাকার বিনিয়োগ যেমন আছে তেমনি ব্যাংক থেকে আছে হাজার কোটি টাকার ঋণ।
প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখতে হলে ব্যবসায় মুনাফা করতে হবে এটা যেমন সত্যি, তেমনি অতিরিক্ত মুনাফা করে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলা অপরাধ।
সে সব কর্পোরেট হাউসগুলো রমজান এলেই সামর্থ অনুযায়ী নিজ নিজ এলাকায় বা পরিচিত জনকে লাখ টাকা থেকে কোটি টাকা যাকাত প্রদান করে। সে যাকাত দিতে গিয়ে অনেক সময় হয়েছে অনেক প্রাণহানী। এরাই আবার হজ্বের সময় কিছু মানুষকে নিজেদের অর্থে হজ্ব করিয়ে আনে। এছাড়াও সমাজের অনেক কাজে তারা সাহায্য করে থাকেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ খুব প্রচার প্রেমিক, কেউ আবার প্রচারবিমুখ। তাদের এমন সমাজ এবং ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ প্রশংসার দাবীদার অবশ্যই। কিন্তু তাদের এসব আয়োজন ম্লান হয়ে যায়, প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে, যখন বাংলাদেশে সবকিছুর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে তাদের ভুমিকা থাকে, বিশেষ করে রমজান মাসে। রমজান মাসে পৃথিবীর দেশে দেশে বিশেষ করে মুসলিম রাষ্ট্রসমূহে দ্রব্যমূল্যের দাম কমার হিড়িক পড়ে। অথচ একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের দেশে মূল্যবৃদ্ধির হিড়িক পড়ে যায়, জনজীবনে উঠে নাভিশ্বাস, আর এর সব কিছুর পিছনে হচ্ছে এসব কর্পোরেট হাউসগুলোর কারসাজি।
যারা এসব কারসাজি করেন তারা চিহ্নিত। তাই তাদের উদ্দেশ্যে বলি কোটি কোটি জনগণকে কষ্ট দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন করে এসব লোক দেখানো যাকাত প্রদান করে, বিনা পয়সায় হজ্ব করিয়ে সামান্য একটু দোয়া এবং প্রচার লাভ করার চেয়ে কম মুনাফা করে কোটি কোটি মানুষের দোয়া নেওয়া কি অনেক বেশি শ্রেয় নয়। রমজান মাস আত্মশুদ্ধির মাস, তাই এ সব লোকদেখানো মানুষগুলোর আত্মশুদ্ধি হোক। লোক দেখানো নয়, মানুষের অন্তরে বসবাস করার উপযোগী করুন আপনাদের প্রতিষ্ঠান, হালাল করুন আপনার মুনাফা। কারণ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন অতিরিক্ত মুনাফাকে করেছেন হারাম।