স্বামীর সঙ্গে সিলেটের এমসি কলেজে বেড়াতে যাওয়া এক নববধূকে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার দুই মাস ৭ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরাণ থানার পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য সিলেটর মুখ্য মহানগর হাকিম আবুল কাশেমের আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন বলে আদালত পুলিশের সহকারী কমিশনার খোকন চন্দ্র সরকার জানান। খবর বিডিনিউজের।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমানকে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আটজনের জনের মধ্যে ছয়জন ধর্ষণে সরাসরি জড়িত, বাকিরা সহযোগিতা করেছে। সরাসরি জড়িতরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া। আর রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওই আট আসামির সবাই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। ডিএনএ পরীক্ষাতেও নমুনার সঙ্গে মামলার আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া গেছে। সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার সোহেল রেজা জানান, ৩৪৭ পৃষ্ঠার এ অভিযোগপত্রে ৪৯ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে। এছাড়া, ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের আরেক মামলায় সাইফুর এবং মাহবুবুর রহমান রনিকে আসামি করে অপর একটি অভিযোগপত্রও আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে।