গণতন্ত্রের মানসপুত্র এবং অবিভক্ত ভারতের অন্যতম নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। উপমহাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। গণতন্ত্রের মানসপুত্র সোহরাওয়ার্দী ছিলেন প্রতিভাবান রাজনীতিক, আইনজ্ঞ, গণপরিষদ সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী । ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুত হোটেলে তিনি মারা যান। মৃত্যুর সময় তিনি হোটেল স্যুটে একাই ছিলেন। তিনি ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সোহরাওয়ার্দী বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে একজন বাঙালি রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ পৃথক বাণীতে সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন উদার ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক এবং অসামপ্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ। সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর ছিল অকৃত্রিম মমত্ববোধ। সোহরাওয়ার্দী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসামপ্রদায়িক রাজনীতি বিকাশে এবং এ অঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সারাজীবন কাজ করেছেন। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি বলেন, উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।