চট্টগ্রাম–৮ (বোয়ালখালী–চান্দগাঁও) আসনে উপ–নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আশেক রসুল খান (বাবু)। তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ এর চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এবং মোহরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।
আশেক রসুল খান (বাবু) প্রখ্যাত আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সেকান্দার হায়াত খান এবং সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র এবং বর্তমান কাউন্সিলর (চান্দগাঁও, মোহরা, পূর্বষোল শহর ওয়ার্ড) জোবাইরা নার্গিস খানের পুত্র। তার পিতা সেকান্দর হায়াত খান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক, যুদ্ধকালীন কালুরঘাট সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক, সেক্টর–১ এ যুদ্ধ করেন, ৭৫ ও ৮৮ সালে নির্যাতিত, দুঃসময়ের চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সহ–সভাপতি ছিলেন। আশেক রাসুল খান বাবু পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির বলয়ে বেড়ে উঠেছেন। তার দাদা মরহুম ছালেহ আহম্মদ খান পাঁচলাইশ থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মোহরা ইউনিয়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট এবং চট্টগ্রাম জুরি কাউন্সিল বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি সভাপতি থাকাকালীন মোহরা এ. এল. খান হাই স্কুল মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিশাল সংবর্ধনা দিয়েছিলেন।
আশেক রাসুল খান ২০০১ থেকে ২০০৮ এর নির্বাচন পর্যন্ত দলীয় কর্মকান্ড রাজপথে থেকে সভা সমাবেশ মিছিল ও নির্বাচনী পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে নিজের এলাকায় এবং ২০১৩ সালে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল, মিটিং এবং হরতাল বিরোধী পথসভায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি ২০০৮ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ডাককে সম্মান, মর্যাদা ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য তার ব্যক্তিগত ও নিজস্ব উদ্যোগে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভাস্কার্য, বিজয় স্তম্ভ ও যাদুঘর ফলক উম্মোচন করেন।
আশেক রাসুল খান বাবু বলেন, ‘আমার উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিলে আমি নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সমাজে প্রতিষ্ঠা করা, দুর্নীতি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা, বেকার যুব সমাজকে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে শক্তিতে পরিণত করা হবে আমার প্রথম কাজ। এছাড়া মজলুম, অসহায় মেহনতি ও দুস্থ মানুষের প্রতি সুনজর রাখা, রাজনীতির মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা পৌঁছে দেয়া এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই হবে আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।’