নেপথ্যের ঘটনা উদঘাটনের দাবি স্বজনদের

পিলখানা হত্যাকাণ্ড

| রবিবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

পিলখানায় ১৪ বছর আগে যে সেনা কর্মকর্তারা নিহত হয়েছিলেন, সেই বিদ্রোহের পেছনের ঘটনা উদঘাটন চাইছেন তাদের স্বজনরা। রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহের চতুর্দশ বার্ষিকীতে গতকাল শনিবার ঢাকার বনানীর সামরিক কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর নিজেদের এই চাওয়ার কথা জানান তারা। খবর বিডিনিউজের।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার সদর দপ্তরে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বাহিনীর তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। সব মিলিয়ে প্রাণ হারান ৭৪ জন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। হত্যামামলায় বিচারিক আদালত ২০১৩ সালে ১৫২ জনকে ফাঁসি, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। বিস্ফোরক মামলার বিচার এখনও শেষ হয়নি। ২০১৭ সালে হাই কোর্ট হত্যামামলার আপিলে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেয়। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কী, তার কারণ খুঁজতেও সরকারকে পরামর্শ দেয় উচ্চ আদালত। আদালতের সেই পরামর্শ উপেক্ষিত থাকার কথা গতকাল শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বলেন স্বজনহারা কয়েকজন।

নিহত কর্নেল কুদরত ইলাহী রহমানের ছেলে অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান বলেন, কোনো একটা জুডিশিয়ারি ইনকোয়ারি কমিশন গঠন করা হয় আন্ডার রিটায়ার্ড সুপ্রিম কোর্ট জাস্টিস। যেই জুডিশিয়ারি ইনুকয়ারি কমিশনটা এটা তদন্ত করে দেখবে যে, পর্দার আড়ালে কী ছিল? সেটা যদি না হয়, তাহলে কিন্তু ইভেনচুয়ালি যদি ফাঁসিও হয়ে যায়, তাহলেই বা কী? এটা তো স্বাভাবিকযে কোনো অপরাধীর তো ফাঁসি হবে। এটাতে খুশি হওয়ার কিছু নাই। পর্দার আড়ালে যারা রয়ে গেল, তাদেরকে কিন্তু আমরা খুঁজে পেলাম না।

মেজর মোহাম্মদ মাকসুমউল হাকিমের বয়োজ্যেষ্ঠ শ্বশুর বলেন, সরকার ডাকে আমরা আসি। শোকসভা করে চলে যাই। ডেথ রেফারেন্স যে আটকে আছে, এটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ হলে আমরা রায়টা দেখতে পারবে। সেই প্রতীক্ষায় দিন গুনছি। নিহত মেজর জেনারেল শাকিলের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া বিচার সম্পূর্ণ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি বিচার পাব না। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিচার হবে না, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিচার সম্ভব না। একসঙ্গে মা ও বাবাকে হারানো রাকিন সংবাদকর্মীদের বলেন, আপনারা সত্য প্রচার করতে পারবেন না, বলে লাভ নাই। অযথা সময় করছেন। আমি যা বলব, তা প্রচার করতে পারবেন না।

নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনরা বনানী সামরিক কবরস্থানে স্বজনের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান, অশ্রুনয়নে প্রার্থনা করেন। এ সময় আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন কেউ কেউ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আশেক রসুল খান
পরবর্তী নিবন্ধক্রেতা দর্শনার্থীর পদভারে মুখর রিহ্যাব ফেয়ার