আওয়ামী লীগের খেলা শেষ : আমীর খসরু

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৫ জুন, ২০২৩ at ৪:২৯ পূর্বাহ্ণ

সরকারকে বিদায় করতে লক্ষ কোটি জনগণ রাস্তায় নেমেছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কিছু সরকারি কর্মকর্তা এবং কিছু অস্ত্রধারী জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে দাঁড়াতে পারবে? সম্ভব না এবং সেটা তারা খুব ভালোভাবে জানে। সুতরাং ইংরেজিতে বলে গেইম ওভার। আর বাংলাতে বলে খেলা শেষ। ওরা তো খেলতে বলে, আমি বলবো খেলা শেষ। বাড়ি ফিরে যান এবার। আপনাদের স্কোর জিরো, শূন্য। ডিভিশন১ এর সাথে ৩ এর খেলা হয়? বিএনপি হচ্ছে ডিভিশন, তারা হচ্ছে তৃতীয়।

গতকাল বুধবার নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়ে অনুষ্ঠিত ‘দেশ বাঁচাতে তারুণ্যে’র সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। খসরু আরো বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। তাদের কোনো জনসমর্থন নেই, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের নির্ভরশীলতা কোথায়? তাদের নির্ভরশীলতা পুলিশের কিছু অংশ, কিছু বিজিবি, র‌্যাব এদের কাছে। তবে সবার কাছে না। তাদের নির্ভরশীলতাই এখানে। কারণ তাদের সাথে কেউ নেই। দেশেও নেই বিদেশেও নেই। আমাদের নির্ভরশীলতা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। সবাই রাস্তায় নেমেছে। তারুণ্যের শক্তি রাস্তায় নেমেছে।

খসরু বলেন, আজকে তরুণ প্রজন্ম যারাই এখানে এসেছে এখানে কেউই ভোট দিতে পারেনি। ভোট যদি দিতে হয় নতুন প্রজন্মকে তাহলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। মিথ্যা মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে যেভাবে আটকে রেখেছেন সেজন্য আপনাদের প্রত্যেকটা মাস, দিন ও ঘণ্টার হিসাব দিতে হবে। যারাই এর পেছনে ছিলো, যারা জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, সরকার আজ খুব অসহায়। তাদের অসহায়ত্ব দেখে আমার খুব দুঃখ হয়। সহজ উপায় নিরপেক্ষ নির্বাচন। আর এখানে কোনো উপায় নেই। খালেদা জিয়ার মুক্তি আমরা চাচ্ছি না। আমরা তাকে মুক্ত করবো। তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনবো। কোটি কোটি জনতা তাকে সেদিন আমন্ত্রণ জানাবে। তাকে স্বাগত জানাবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, চলমান আন্দোলনে আমাদের এক দফা এক দাবি, হাসিনা কবে যাবি। চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবাই। আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃত্ববাদী সরকার। বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এ সরকারের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, সরকার দেশের মানুষকে বিশ্বাস করে না। এ কারণে ২০১৪ সালে তারা ভোটারবিহীন এবং পরেরবার দিনের ভোট রাতে নিয়ে ফেলে।

কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, চট্টগ্রাম থেকে সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে। সরকারকে বলব, বিদায় নেন। তা নাহলে পালানোর পথ পাবেন না।

নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকার আমাদের ভাত, পরনের কাপড় দিতে পারে নাই। আইনের শাসন শেষ করে দিয়েছে। তরুণ প্রজন্মের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। তাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। তিনি বলেন, আউটার স্টেডিয়ামে মেলা, নৃত্য ও ভ্যারাইটি শো হতে পারে। আওয়ামী লীগ ও ছোট ছোট দলের সমাবেশ হতে পারে। কিন্তু যত সমস্যা বিএনপিকে নিয়ে। আমাদের সমাবেশ করতে বাধা দেয়া হল।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, যে কোনো সমাবেশ চট্টগ্রামে সফল হয়। তা আজ প্রমাণিত।

নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, কোনো আলোচনা ও সংলাপ নয়। দাবি একটাই, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, তরুণ প্রজন্ম জেগেছে। সরকারকে বিদায় নিতে হবে।

সভায় নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসন দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়ত হোসেন বুলু, নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল আলম ও সদস্য সচিব শরীফুল ইসলাম তুহিন বক্তব্য রাখেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যাপক যানজট দুর্ভোগ
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচন ইস্যুতে আ. লীগকে বিশ্বাস করে না বিএনপি