অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনের জন্য তৈরি প্রতি ১০টি স্বাস্থ্য অ্যাপের মধ্যে নয়টিই ব্যবহারকারীর তথ্য অন্যায়ভাবে সংগ্রহ এবং ট্র্যাক করে বলে বেরিয়ে এসেছে এক নতুন বৈশ্বিক গবেষণায়। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটিতে গুগল প্লে স্টোরের ২০ হাজারেরও বেশি মোবাইল স্বাস্থ্য অ্যাপের গভীর বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলোই ব্যবহারকারীর পদক্ষেপ, ক্যালরি কাউন্টার, স্বাস্থ্যের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা অ্যাপের তথ্য, উপসগের্র তথ্য এবং ঋতুস্রাব ট্র্যাকারসহ সংবেদনশীল স্বাস্থ্য তথ্য দাবি করে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান। খবর বিডিনিউজের।
অস্ট্রেলিয়ার ম্যাককিউরি ইউনিভার্সিটির সাইবার সিকিউরিটি হাবের প্রভাষক মুহাম্মদ ইকরাম এই গবেষণাপত্রের অন্যতম লেখক। তিনি বলছেন, ‘বিপুল সংখ্যক (শতকরা প্রায় ৮৮ ভাগ) মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহারকারীর কার্যকলাপ ট্র্যাক করতে ‘কুকি’ ব্যবহার করা হয় এবং এই অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে কিছু একাধিক প্ল্যাটফর্মজুড়ে ট্র্যাক করার কাজটি করছে।’ গবেষণায় আরো উঠে এসেছে, শতকরা ২৮ ভাগ স্বাস্থ্য অ্যাপ কী ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছে সে সম্পর্কে গুগল প্লেতে কোনো ধরনের বক্তব্য দেয়নি। অথচ প্লে স্টোরের নিয়ম অনুসারে এ তথ্য উল্লেখ বাধ্যতামূলক। অ্যাপগুলোর মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বিজ্ঞাপনের জন্য শনাক্তকারী তথ্য বা কুকি সংগ্রহ করতে পারে, এক-তৃতীয়াংশ ব্যবহারকারীর ইমেইল ঠিকানা সংগ্রহ করতে পারে, এবং প্রায় এক চতুর্থাংশ মোবাইল ফোনের সংযোগ টাওয়ার শনাক্ত করতে পারে, যার মানে হচ্ছে অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর অবস্থান বিষয়ক তথ্য নিতে পারে। উল্লিখিত তথ্যের বিপরীতে দেখা গেছে, মোবাইল স্বাস্থ্য অ্যাপ্লিকেশনের মাত্র চার ভাগ আসলে তৃতীয় পক্ষের কাছে ব্যবহারকারীর নাম এবং অবস্থানের ডেটা পাঠায়।