নগরীর বাকলিয়ায় কবরস্থানের দখল নিয়ে সংঘর্ষের সময় অস্ত্র উঁচিয়ে গুলিবর্ষণকারী সেই শ্যুটার অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে বাঁশখালীর প্রেমবাজার এলাকা থেকে জাহিদুল আলম (২৪) নামের ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।
এদিকে তার দেয়া তথ্যে ঘটনার দিন ব্যবহার করা সেই বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমীন। গ্রেপ্তার জাহিদুল বাকলিয়ার সাদেক শাহ মাজার গেট এলাকার মৃত মো. ইসহাকের ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পূর্ব বাকলিয়া আবদুল লতিফ হাটখোলা এলাকায় ‘বড় মৌলভী বাড়ি’ কবরস্থানের দখল নিয়ে স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে চার জন গুলিবিদ্ধসহ ১৩ জন আহত হন।
পুলিশ জানিয়েছিল, বড় মৌলভী বাড়ির লোকজন পুরনো সাইনবোর্ড ফেলে কবরস্থানের নতুন সাইনবোর্ড লাগাতে গেলে স্থানীয় একটি দল তাদের বাধা দেয়। এ সময় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘাতে জড়ায়। এ ঘটনায় বড় মৌলভী বাড়ির সাইফুল্লাহ মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ প্রথমে ছয় জনকে এবং মঙ্গলবার জাহিদুলসহ সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বাকলিয়া থানার ওসি রুহুল আমীন আজাদীকে বলেন, সংঘর্ষের সময় জাহিদুল বিদেশি পিস্তল বের করে গুলিবর্ষণ করে। ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা তাকে শনাক্ত করি। ঘটনার পর তিনি বাঁশখালীতে পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি এবং বাকলিয়ায় অভিযান চালিয়ে সেই অস্ত্রটি গুলিসহ উদ্ধার করি। এলাকায় সরকারি দলের নাম ব্যবহার করে জাহিদুল বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতো বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।