বইতে পড়েছিলাম যেসব জীব অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না তাদেরকে অণুজীব বলে। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া অণুজীবের অন্তর্ভুক্ত। ভাইরাস সংক্রামক রোগের অদৃশ্য জীবাণু বিশেষ। ব্যাকটেরিয়া এককোষী, দল বেঁধে থাকতে পারে। গোড়ার দিকে পৃথিবীতে যেসব রূপে প্রাণের আবির্ভাব ঘটেছিল, ব্যাকটেরিয়া তাদের মধ্যে অন্যতম। অন্যদিকে Fungi (একবচনে Fungus) এর বাংলা প্রতিশব্দ হল ছত্রাক। এরা পরজীবী। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস নামক অদৃশ্য অণুজীব পুরো বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে অনেক প্রাণ। তছনছ হয়ে গেছে কত পরিবার। ২০২১ সালে করোনা ভ্যাকসিন আসার পর সবাই ভেবেছিল হয়ত এবার পরিত্রাণ পাওয়া যাবে এই মহামারি থেকে। কিন্তু এ বছরের অবস্থা আরো ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টি করছে মানুষের মনে।যারা করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠছে তাদের শরীরে আবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামে আর এক ভয়াবহ রোগ বাসা বাঁধছে। এমনকি ভারতে কয়েকজনের শরীরে হোয়াইট ফাঙ্গাসও পাওয়া গেছে যা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর। পুরো বিশ্ব বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ এখন আতঙ্কে আছে এই ভয়ঙ্কর ছত্রাক নিয়ে। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু এই ক্ষুদ্র অণুজীবের সাথে লড়াই করতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। মানুষ চাঁদে গেল, এভারেস্ট জয় করল, এমনকি মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মানুষ কিভাবে জয় করবে তা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। পৃথিবীতে সৃষ্টির প্রথম দিকে যেসব অণুজীবের বিচরণ ছিল তারা আবার মানুষের বিলুপ্তির কারণ হয়ে উঠবে কিনা তা সবার অজানা। একমাত্র স্রষ্টা মানুষকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করতে পারে।