৩০ বছর পর মীরসরাইয়ের সাহেরখালী এলাকার সাইফুদ্দিন ইমরান হত্যা মামলার রায়ে তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ৯ জনকে যাবজ্জীবন (৩০ বছর), ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল হাসনাত এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কবির আহম্মদ ও হুমায়ন কবির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাদের দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। অনুপস্থিত থাকায় বাকীদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বিচার চলাকালে হেঞ্জু মিয়া নামের একজন মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আমৃত্যু যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন– সাইফুল আলম, সাহাবুদ্দিন ও আমীর হামজা। অন্যদিকে যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন– কবীর আহমদ, দিদারুল আলম ওরফে মিলন, আবু আবদুল্লাহ ওরফে কিরণ, সিদ্দিক আহমদ, রুহুল আমীন, হুমায়ন কবীর, আরিফ হোসেন, আনোয়ারুল আজিম ও জয়নাল আবেদিন।
জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ভিকটিমের বাবা ও মামলার বাদী ঘটনার সময় জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ভিকটিম সাইফুদ্দিনও জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। স্থানীয় বিরোধ ও দখলদারিত্ব নিয়ে ভিকটিমের সাথে আসামিদের বিরোধ ছিল।
আদালত সূত্র জানায়, ১৯৯৩ সালের ১৮ জুন সাহেরখালী ভোরের বাজার এলাকায় সাইফুদ্দিন ইমরানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর উপর্যপুরি আঘাত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান সাইফুদ্দিন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা ইসমাইল সিদ্দিকী বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিট দাখিল করলে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।












