ঘরে গৃহবধূর লাশ রেখে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক

টেকনাফ প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৮ জুলাই, ২০২১ at ৪:২৫ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফে রোকেয়া বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার টেকনাফ ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রোকেয়া এক সন্তানের (৬) জননী ও উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালী লামার পাড়ার মমতাজের মেয়ে।
এ ঘটনার পর থেকে নিহত রোকেয়ার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ সকলে পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবার জানায়, হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী এক নারীর মাধ্যমে রোকেয়াকে হত্যার খবর পান। পরে তিনি পুলিশে খবর দেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন রোকেয়াকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। রোকেয়া ওই এলাকার মোহাম্মদ আজিজের স্ত্রী। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তারা।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার আরো জানায়, আজিজ প্রথমে রোহিঙ্গা বশোংদ্ভুত এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন। পরে সংসারে মিল না হওয়ায় রোকেয়াকে বিয়ে করেন। কিন্তু আজিজের মা-বাবা রোকেয়াকে পছন্দ করত না। সংসারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায় তাদের ঝগড়া হতো। তিন মাস আগেও রোকেয়াকে মারধর করে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করা হলে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেওয়া হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে শনাক্ত ৬১১, মৃত্যু আরো ৪
পরবর্তী নিবন্ধবৃষ্টি-লকডাউন, তবুও সড়কে সরব উপস্থিতি