দেশ হতে দেশান্তরে

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ১৮ অক্টোবর, ২০২০ at ৪:৩২ পূর্বাহ্ণ

পুলসেরাতের পুল

ট্রলি ঠেলে ঠেলে আগমনী লাউঞ্জের গেইটের দিকে হাঁটতে হাঁটতে ফের দেয়ালে লাগানো সাইন দেখে কাস্টমসের গ্রিন চ্যানেল খুঁজতে খুঁজতে ভাবছি, কানমিং এ তো বিনা ঝঞ্ঝাটে পেরিয়েছিলাম শুল্কপুল, এখানে আবার কি হয় কে জানে? ঢাকা এয়ারপোর্টের সবুজ চ্যানেলই তো বরাবর পাই যাকে বলে গর্ভযন্ত্রণা তা, আর লাল চ্যানেলের পুলসেরাত পার হতে গিয়ে কি হয় তা তো জানিই না! প্রতিবারই বিদেশ ভ্রমণ শেষে বেশ দীর্ঘ অপেক্ষার পর ব্যাগসুটকেস সংগ্রহ করে, বাংলাদেশ কাস্টমসের তথাকথিত সবুজ পথ বা গ্রীন চ্যানেল দিয়ে বের হওয়ার ব্যাপারটাকে বোঝার উপর শাকের আঁটি না বরং জগদ্দল পাথর মনে হয় দুটো কারণে প্রথমত ঐ পথের আশেপাশে ঘাপটি মেরে দাঁড়িয়ে থাকা কাস্টমসের পোশাকি অপোশাকি নানান শ্রেনীর কর্মকর্তা আর কর্মচারী যাত্রীদের দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে থাকেন মনে হয় যেন, এইমাত্র একজন দাগি মাদক বা সোনার চোরাচালানি বুঝি তাদের পাতা জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে অবলীলায়। ওইরকম নিবেদিতপ্রাণ দেশপ্রেমিক কাস্টমসের লোকজনদের ঐ শ্যেনদৃষ্টিটি আমি টের পাই, তাদের কারো দিকে না তাকিয়েও ষষ্ঠইন্দ্রিয়ের জোরে। সাধারণত তাদের কারো দিকে না তাকানোরই জোর চেষ্টা করি সবসময়। অভিজ্ঞতায় দেখেছি হোক তা দেশে বা বিদেশে কাস্টমসের লোকজনের চোখে চোখে তাকালেই, তারা পেয়ে বসে অন্তত ৮০ / ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে, এবং পড়তে হয় তাদের জেরার মুখে বিদেশে হলে ঘটে তা সবুজ চ্যানেলে ঢোকার আগেই। আর দেশে তাদের চোখ পড়ুক আর না পড়ুক, কেন জানি সবুজ পথেও তারা উড়িয়ে দেয় লাল ঝাণ্ডা যখন তখন। অতঃপর থমথমে মুখে গুরুগম্ভীর স্বরে ডান, বা, এমনকি পেছন দিকে থেকে দু তিন জন একসাথে বা পর পর সন্দেহমাখা প্রশ্নের তীর ছুড়েন, আসলে কে কোন মুল্লুক থেকে চুরিচামারি বা খুন খারাবি করে?
উত্তরে যতই হন না কেউ সত্যবাদি যুধিষ্টির, ততই যেন তাদের রোখ চাপে তার উপর। ফলে অলঙ্ঘনীয় আদেশ হয়, সব বাঙ পেটরা ট্রলি থেকে নামিয়ে দিতে স্ক্যানিং মেশিনে দেয়ার। ভ্রমণক্লান্ত না হলেও ব্যাগেজ সংগ্রহ যুদ্ধক্লান্ত আমি প্রতিবারই ভাবি, এতোসব মহা জাঁদরেল শুল্ক কর্মকর্তা বিমানবন্দরে স্বশরীরে এরকম শেন্য দৃষ্টির জাল বিছিয়ে থাকার পরও এ পথে এতো অবৈধ জিনিষ দেশে ঢোকে কি করে? অবৈধ অন্যকিছু সম্পর্কে তেমন কিছু নিশ্চিত না জানলেও পেশাগত কারনে জানি কি পরিমাণ তথাকথিত বিদেশী ঔষধ ঢোকে দেশে প্রতিদিন এই পথে। যেসব ঔষধের নেই কোনরকম অনুমোদন দেশে। উপরন্তু ঐসব ঔষধের কোনটা আসল আর কোনটা নকল তারও নেই হদিশ। আর ঔষধ যদি আসলও হয়, তাতেও কি। ঔষধ পরিবহনের তো বিশেষ কিছু নিয়মনীতি আছে। সেসব নিয়মনীতি না মেনে ওগুলোকে দেশ থেকে দেশান্তরে পাঠালে, ওগুলোর কোন কোনটি তো বিষেও পরিণত হতে পারে, যাত্রাপথে তাপমাত্রার তুমুল উঠানামার কারণে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সাথে রোগীদের প্রতি মানবিক বোধের কারণে যে আমি, এমনকি দুয়েকবার মিটিংও করেছিলাম বিমানবন্দরের কাস্টমসের লোকজনদের ব্যাপারটির গুরুত্ব বোঝাতে। তারপরও সেই আমিই যখনই পার হতে থাকি বিমানবন্দরের শুল্ক বৈতরণী, প্রতিবার মনে হয় পার হতে যাচ্ছি বুঝি সেই ছোটবেলায় দাদি, নানি, আম্মা, খালা, চাচিদের মুখে শোনা চুলের মতো সরু আর তলোয়ারের চেয়ে তীক্ষ্ণ পুলসেরাতের পুল বুঝি!
হ্যাঁ ছোটবেলায় হুজুরদের ওয়াজ আর মা খালাদের আলোচনায় হাশরের মাঠে, মাথার এক বিঘত উপরে জ্বলতে থাকা প্রখর তেজি সূর্যের তাপে টগবগ ফুটতে থাকা মাথার মগজ নিয়ে “ইয়া নফসি” “ইয়া নফসি” করতে থাকা নগ্ন মানবকূল বিচার শেষে, কোন দিকে না তাকিয়ে উর্ধ্বশ্বাসে পুলসিরাতের পুল পার হওয়ার জন্য দৌড় দেওয়ার কথা শুনে থাকলেও, ঢাকা এয়ারপোর্টের শুল্কপুল পার হতে চেষ্টা করি আমি ধীরে সুস্থে। কারণ ওখানে তাড়াহুড়া করলেই সকলকেই সন্দেহ করার তুমুল প্রতিজ্ঞায় দাঁতমুখ খিঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ঐ সব শুল্কপুলিশের, সন্দেহ হয় প্রবলতর। তবে পুলসিরাতের পুল দৌড়ে পার হওয়ার সময় মানুষের স্পিকটি নট হয়ে দৌড়ানোর কথা শুনলেও, বেয়াড়া আমি তা পারি না সবসময়ই শুল্ক পুল পার হওয়ার সময়। ফলে মুখ ফস্কে বেশ ক’বারই বলে ফেলেছি, যে তাহলে এরকম গ্রীনচ্যানেল করার মানেটাই কি?
যে ক’বারই ওরকম বলেছি তাতে শুধু ট্রলি থেকে সব বাঙপেটরা নামিয়ে স্ক্যানিং মেশিনে দিয়েও রক্ষা পাইনি। স্ক্যানিং শেষে মেশিনের পর্দায় তীক্ষ্ণ চোখরাখা শুল্কপেয়াদা, মুখ ঘনকালো করে ঘোষণা দিয়েছিল এমনভাবে যে আমার সুটকেসের কোন গোপন কুঠুরিতে অতি সন্তর্পণে রাখা আছে বুঝি ভয়াবহ কোন নিষিদ্ধ বস্তু , যা নাকি স্ক্যানিং মেশিন ধরতে পারছে না আমার চালাকির কারণে। অতএব অবধারিতভাবে আমাকে খুলতে হয়েছিল যাবতীয় সুটকেস আর ব্যাগ। তারপর অকারণ সবকিছু তন্ন তন্ন করে খুঁজে, অবশেষে এমনভাবে যেতে বলেছে মনে হয় যেন আরেকটু হলেই বুঝি ঐ তীক্ষ্ণ ধারের পুলসেরাতের পুল, আমাকে কেটে ছিঁড়ে পাঠিয়ে দিতো বুঝি হাবিয়া, জাহান্নাম বা হুতামা দোজখে! তা নিজের বেয়াড়া স্বভাবের দোষে আমাকে নিয়ে যত যাই করুক না কেন সেইসব শুল্ক কর্মকর্তার তাতে যতো না রাগ হয়, তার চেয়ে ঢের বেশি রাগ আর দুঃখ হয়, যখন দেখি ৪, ৫ , ৬ বছর মধ্যপ্রাচ্যে অমানুষিক কষ্ট করে দেশে আসার সময় প্রিয়জনদের জন্য এটা সেটা নিয়ে আসা প্রবাসীকর্মীদের হেনস্থা হতে দেখে।
সে কথা থাক, সংবিধান থেকে বহু আগে সমাজতন্ত্র কেটে দেয়া বাংলাদেশেরই শুল্ক কর্মকর্তাদেরই যখন এ অবস্থা, তখন যতই পুঁজিবাদী পথে পা রাখুক না কেন চীন, কাগজে কলমে এখনো তো এটি সমাজতান্ত্রিক দেশ। এছাড়া ছোটবেলা থেকেই শোনা সমাজতান্ত্রিক দেশের প্রতি পরতে পরতে আর পদে পদে সর্বক্ষণ গোয়েন্দা নজরদারীর আতশকাচের নীচে থাকা বিদেশী ভ্রমণকারীদের কথা যত শুনেছি, তা তো গেঁথে আছে অবচেতনে পাকাপোক্তভাবে। আর আগেই তো বলেছি বাংলাদেশি হিসাবে বিদেশভ্রমণে নানান এয়ারপোর্টে হেনস্থা হওয়ার কথা। এই সব কিছুর যোগসাজশে অজানা শংকার বুদবুদ নিয়ে এগুচ্ছি ট্রলি ঠেলতে ঠেলতে। পেছনে ছেড়ে আসা ঝলমলে আধুনিক কানমিং বিমানবন্দরের তুলনায় চেহারায় নিতান্তই প্রাগৈতিহাসিক বেইজিং এর এই এয়ারপোর্ট, আকার আয়তন ছোট বা বড় না হলেও সমানই হবে। তাই ব্যাগেজ নেয়ার কনভেয়র বেল্ট থেকে আগমনী লাউঞ্জ পর্যন্ত এ করিডোরটি মোটামুটি দীর্ঘই মনে হচ্ছে। এ সময় আমার পুলসিরাত বিষয়ক সেই দুর্ভাবনাটি উড়িয়ে নিয়ে গেল স্বস্তির সুবাতাস। মনে পড়লো অভ্যন্তরীণ এয়ারপোর্ট হওয়ায় ইমিগ্রেশন যেমন নাই, তেমনি এখানে কাস্টমসের পুলসিরাত পুলও নাই।
সে যাক ঐসব ভাবনায় ডুব সাঁতার কেটে কেটে অবশেষে আগমনী লাউঞ্জে এসে পৌঁছনর পর ওখানটার জনমানবহীন সুনসান অবস্থা দেখে ভাবলাম, ঘটনা কি? পৃথিবীর সব এয়ারপোর্টেরই আগমনী লাউঞ্জ থেকে একদম বাইরে বেরুবার আগেইতো থাকে একটা জায়গা, যেখানটায় অপেক্ষা করে আর কেউ না হলেও নানান হোটেল থেকে আসা শোফারেরা। হাতে থাকে তাদের নিজ নিজ যাত্রীর নামের প্ল্যাকার্ড। তাছাড়া থাকে ট্যাঙি ভাড়া করার আর হোটেল বুকিং করার কাউন্টারও। এখানে ওসব কাউন্টারের বালাই তো নেই-ই, সাথে নেই তেমন কোন জনমানবও! কপাল কুঁচকে ফের যেই ভাবতে যাবো ঘটনা কি, সাথে সাথেই নিজের উপর বিরক্তি এলো, কেন বারবারই আমার মনে গোল পাকছে অভ্যন্তরীণ আর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর নিয়ে। এই এয়ারপোর্টে আমরা বিদেশী হিসাবে এসে নামলেও এটা তো আসলে অভ্যন্তরীণ এয়ারপোর্ট। আর অভ্যন্তরীণ এয়ারপোর্টে বিমানবন্দরীয় কেতাবি নামে যাকে ডাকা হয় ‘মিট এন্ড গ্রিট লাউঞ্জ’, তেমন কিছু থাকে না কোথাও।
অতএব আগমনী লাউঞ্জের ভেতর থেকেই হোটেলে যাওয়ার গাড়ি ঠিক করা তো যাবে না, সেজন্য যেতে হবে বাইরে। সকাল থেকেই অনেকবারইতো ভেবেছি ভ্রমন ফাইলটি ঘেটে বের করবো এয়ারপোর্ট থেকে কি উপায়ে পৌঁছুব হোটেলে, কিন্তু তা তো আর করা হয়নি। আর বিমানে বসে যখনই নিয়েছিলাম হাতে সেই ফাইল, তখনই কিন্তু বিমান অবতরণের আঞ্জাম শুরু হয়ে যাওয়ার সাথে সদ্য ঘুম ভাঙ্গা অভ্রের প্রশ্নের কারণে সেটি আর দেখা হয়নি। বরং নামার আগে সেটি ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম ফের পিঠব্যাগেই। এখন ভাবছি ঐ যে মিটার পঁচিশ ত্রিশ দূরে দেখছি বাইরে বেরুবার স্বয়ংক্রিয় গেইট, তার আগেই গোটা এয়ারপোর্টের মলিন চেহারার সাথে মিলিয়ে পেতে রাখা আছে যে অনুজ্জ্বল রঙের হাতলওলা টানা ধাতব চেয়ার, ওখানে না হয় সেটিকে আবার ব্যাগমুক্ত করে দেখে নেবো। ফলে সবার উদ্দেশ্যে বললাম চল গিয়ে বসি আগে ঐ বেঞ্চিতে, তারপর ঠিক করা যাবে কিভাবে যাবো আমরা হোটেলে।
জবাবে “বাজে কটা এখন”? লাজুর এ প্রশ্নের পিঠেই বরাবরের মতো হোটেল বিষয়ে উৎসুক অভ্রর জিজ্ঞাসু স্বর এলো “আমরা কি এখানেও ইন্টার কন্টিনেন্টালে থাকবো বাবা”?
অবচেতন হুঁশিয়ার মন আমার প্রথমে স্ত্রী আজ্ঞা পালনের নির্দেশ জারী করায়, সাথে সাথে ট্রলি ঠেলা থামিয়ে, হাতের ঘড়ি দেখে সময় বলতে গিয়ে সামলালাম নিজেকে। কারণ ঘড়ি তে আমার তো বাজছে এখনো দেশের সময়। দ্রুত প্যান্টের পকেট হাতড়ে হাতফোন বের করে তার পর্দায় চোখ রেখে জানলাম যে বাজছে এখন দুপুর দু’টা বাইশ।
‘তাহলে তো লাঞ্চের সময় হয়ে গেছে।এই এয়ারপোর্টে তো কোন ধরনের দোকানপাঠই নাই। হোটেলে যেতে কতক্ষণ লাগবে’ পেছন থেকে আসা লাজুর এই স্বগতোক্তির ফাঁকে ফের অভ্রর জিজ্ঞাসা ‘বাবা কোন হোটেলে থাকবো আমরা’?
“রিজেন্ট হোটেল“ অভ্রর উদ্দেশ্যে পেছন ফিরে বলে ট্রলি টা পাশে রেখে ঐ বেঞ্চি দুটোতে সবাইকে বসার ইশারা দিয়ে নিজেও বসার উদ্যোগ নিতেই পেছন পেছন আসতে থাকা দীপ্র বলে উঠলো-“হোটেলে যাওয়ার গাড়ি ঠিক করবে না? এখানে বসছো কেন বাবা? এখানে তো কোন কিছুই নাই”! সাথে অভ্রর ফের হোটেল বিষয়ক প্রশ্ন ‘বাবা রিজেন্ট কি ইন্টারকন্টিনেন্টালের মতো নাকি আরো বেটার হোটেল’?
হ্যাঁ বাবা, কিভাবে হোটেলে যাবো সেটাই ঠিক করার জন্য বসছি এখানে। আর বুঝতে পারছি গাড়ি ঠিক করতে যেতে হবে ঐ গেইটের বাইরে, দীপ্রকে বলতে বলতে বসে পড়লাম বেঞ্চিতে। ততক্ষণে অভ্র এসে পাশে বসতেই বললাম, রিজেন্ট আর ইন্টারকন্টিনেন্টাল একই ধরনের হোটেল। তা শুনে অভ্র দীপ্র দুজনের মুখেই উচ্চারিত হলো “ওয়াও”-এরই মধ্যে হেলেনও এসে হাজির ট্রলি ঠেলতে ঠেলতে। সব শেষে লাজু পায়ের ব্যথায় কিছুটা খোঁড়াতে খোঁড়াতে এসে বললো “কতোক্ষণ থাকবো আমরা এখানে? আর গাড়িই বা ঠিক করবে কোন জায়গা থেকে? আমাদের হোটেল টা কতদূরে?
একটু অপেক্ষা করো। বাইরে রেকি করে আসি, তাতেই তোমার সব প্রশ্নের সঠিক না হলেও মোটামুটি উত্তর দিতে পারবো; বলেই হাঁটা ধরলাম মিটার দশেক দূরে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে দাঁড়িয়ে থাকা দূরপাল্লার ঘোলাটে কাচের স্বয়ংক্রিয় দরজাটি লক্ষ করে। “আমিও যাবো তোমার সাথে” দীপ্রর গলার এই আওয়াজে পেছন ফিরে না তাকিয়েও বুঝতে পারলাম দু ভাই একসাথেই বেঞ্চি থেকে গাত্রোত্থান করে পিছু নিয়েছে। ভাবলাম বলি তাদের অপেক্ষা করতে, আবার মনে হলো, অসুবিধা কি? আসুক না ওরা। তাই বললাম না কিছু দরজার কাছাকাছি যেতেই ঠোঁটে ঠোঁট চেপে থাকা পাল্লাদ্বয় চকিতে তড়িঘড়ি করে একজন আরেকজনকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছেড়ে যেতেই, তাদের পেছনে ফেলে সামনের ছোট্ট করিডোর পেরিয়ে রাস্তায় পা দিয়ে কিছু বুঝে উঠার আগেই নিমেষেই সাইবেরিয়ার প্রস্তরবৎ বরফের মতো জমে গেলাম।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সংগঠক

পূর্ববর্তী নিবন্ধসামাজিক অবক্ষয় ও বিপর্যস্ত মানবিকতা
পরবর্তী নিবন্ধবড় হওয়ার স্বপ্ন ছিল শেখ রাসেলের