হাটহাজারীতে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে ৯৯৯ এ ফোন দেয়ার মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে মো. ইরফাত হোসেন রাব্বি (২৭) ও মো. সায়মন (২৩) নামের দুই ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার সকালে হাটহাজারী মডেল থানার এসআই মো. হারুনুর রশিদ তাদের আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চবি ১ নং গেট সংলগ্ন চট্টগ্রাম–হাটহাজারী মহাসড়ক থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক মো. ইরফাত হোসেন রাব্বি বায়েজিদ বোস্তামি থানার আতুরার ডিপোর জাহানপুর জাঙ্গাল পাড়ার হাজী এমদাদ খান বাড়ির জানে আলমের পুত্র এবং মো. সায়মন একই থানাধীন সিটি কর্পোরেশন ৩ নং ওয়ার্ডস্থ নুরুল ইসলামের পুত্র।
থানা ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার ফাইটার মো. সজল মল্লিক ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদানের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে চট্টগ্রামের অঙিজেন থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠেন। ওই গাড়ির চালক ছিনতাই চক্রের সদস্য। এ সময় যাত্রী সেজে গাড়িতে চক্রের আরও তিন সদস্য উঠেন। পরে গাড়িটি চবি ১ নং গেট এলাকায় পৌঁছালে আসামি মো. ইরফাত হোসেন রাব্বি, মো. সায়মন, মো. শুভ ও সুরত নবী ভিকটিমকে জিম্মি করে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে ভিকটিম সজল কৌশলে ৯৯৯ এ কল দিলে হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২ ছিনতাইকারী পালিয়ে গেলেও ইরফাত হোসেন ও সায়মনকে আটক করে পুলিশ। তাছাড়া, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি টিপ ছুরি, মাস্ক এবং সিএনজি টেঙিটি জব্দ করে। পরে ভিকটিম বাদী হয়ে এ ঘটনায় জড়িত ৪ জনের নামে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাটহাজারী মডেল থানার এসআই মো. হারুনুর রশিদ জানান, ৯৯৯ এ কল পাওয়ার মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করি। এ সময় ছিনতাই চক্রের ২ সদস্য পালিয়ে যায়। পলাতক ২ জনকেও দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
হাটহাজারী থানার ওসি মো. রুহুল আমিন সবুজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আটককৃত ২ ছিনতাইকারীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
