রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলা থেকে গত ৫ অক্টোবর রাত দশটার দিকে মিলাদ হোসেন রিজভী (২১) নামের এক যুবক পিকআপ (নং ঢাকা–ড–১১–০০০১) যোগে শহরেন দিকে যাচ্ছিলেন। পিকআপটি রাউজানের বেরুলিয়া ব্রিজের কাছে পৌঁছলে একদল যুবক গাড়ির গতিরোধ করে। পরে সবজি বিক্রেতা রিজভীকে গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে মারধর করে। এসময় তার কাছে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে একটি সিএনজি টেক্সিতে উঠিয়ে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরিয়ে রাউজান সদর ইউনিয়নের দিকে নিয়ে যায়। এই ঘটনার সাথে সাথে পিকআপ চালক ঘটনাটি জরুরি সেবা সার্ভিস ৯৯৯ নাম্বারে জানায়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সানতু বিষয়টি জেনে তাৎক্ষণিক ঘটনা অবহিত করে রাউজান থানাকে দ্রুত অভিযানে নামার নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপারের বার্তা পেয়ে থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়ার নেতৃত্বে পুলিশ দল নিয়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অপহরণকারীদের পিছু নেয়। রাত ১২টার দিকে রাউজান সদর ইউনিয়নের রমজান আলী হাট বটতল এলাকায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে অপহরণকারীরা অপহৃত রিজভীকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ রিজভীকে উদ্ধার করে। পরে তাকে নিয়ে অপহরণকারীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করে।
রাতের এই অভিযানে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় পশ্চিম রাউজান এলাকার মো. জাফরের ছেলে অপহরণকারী মো. ফোরকান উদ্দিন বাপ্পী (৩৮), একই এলাকার মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো. আল আমিন (৪৩), পূর্বগুজরা ইউনিয়নের উত্তর গুজরা গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে মো. মঈনুদ্দিন (৩৬), রাউজান পৌরসভার জানালীহাট এলাকার মুন্সি মিয়ার ছেলে সিএনজি টেক্সি চালক মো. শরিফ প্রকাশ সৌরভ (৩০)। থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামিদের কাছ থেকে অপহৃত ব্যক্তির কাছ থেকে লুণ্ঠিত নগদ সাড়ে নয় হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত রাশেদ প্রকাশ জুয়েল (৩০) নামের অপর একজন পলাতক আছে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম অপহরণ মামলা করেছেন। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।