লামা পৌরসভার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে আসন্ন নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৯ মহিলা প্রার্থী। মেয়র ও সাধারণ ওয়ার্ডের পুরুষ কাউন্সিলরদের সাথে পাল্লা দিয়ে ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে রাত-দিন নির্ঘুম প্রচারণা চালাচ্ছেন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
লামা পৌর নির্বাচন’২০২১ এর রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়,আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠাতব্য লামা পৌরসভার ৪র্থ সাধারণ নির্বাচনে সংরক্ষিত ৩ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে মোট ৯ জন মহিলা প্রার্থী ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন- রোকেয়া খানম কেয়া (চশমা), শ্যামলী বিশ্বাস (জবা ফুল) ও সাকেরা বেগম (আনারস)। ২নং ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হলেন- জোসনা বেগম (আনারস) ও মরিয়ম বেগম (জবা ফুল)। ৩নং ওয়ার্ডের প্রার্থীরা হলেন- জাহানারা বেগম (আনারস), সুমনা আক্তার (জবা ফুল), মাজেদা বেগম (চশমা) ও রোজিনা আক্তার (অটোরিক্সা)।
প্রতীক বরাদ্দের সাথে সাথেই এসকল মহিলা প্রার্থীরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন ভোটের মাঠে। সাধারণ ৩ ওয়ার্ড নিয়ে একটি সংরক্ষিত ওয়ার্ড হওয়ায় মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারনায় বেগ পেতে হচ্ছে। গনসংযোগ, উঠান বৈঠক এবং ঘরে ঘরে প্রচারনা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। পুরুষ ভোটারদের কাছে ভোট চাইলেও মহিলা ভোটারদের জড়িয়ে ধরে বেশির ভাগ প্রার্থীই ভোটদানের ওয়াদা আদায়ের চেষ্টা করছেন। পরিবারের পুরুষ কিংবা মহিলা মুরুব্বীকে পা ধরে সালাম করছেন। প্রার্থীদের প্রায় সকলেই স্বামি, ভাই কিংবা নিকট আত্মীয়-স্বজনের পরিচয় নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রচারণা চালাচ্ছেন। বর্তমান মহিলা কাউন্সিলরগণ পৌর এলাকার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আবারো তাদেরকে ভোট দেয়ার আহবান জানাচ্ছেন। আর নতুন প্রার্থীগণ বর্তমান কাউন্সিলরদের ব্যর্থতা তুলে ধরে তাদের নির্বাচিত করার আহবান জানাচ্ছেন।
টানা চতুর্থবার ও তৃতীয়বার জয়ের জন্য নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দুই মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী জাহানারা বেগম ও জোসনা বেগম। তাঁরা জানান, জনগণ বার বার আমাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে, আমাদের উপর আস্থা রাখছে। নির্বাচিত হয়ে তাদের আস্থার প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি- জনগণ এবারও আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। নতুন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রায় সকলেই জানিয়েছেন, লামা পৌরসভার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতেই তারা আসন্ন পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। ইতিপূর্বে অনেকেই বিভিন্ন সামাজিক কাজে জড়িত থাকলেও এবার তারা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করতে চান। সাধারণ ভোটাররা জানান, সৎ ও যোগ্য প্রার্থী দেখে তারা কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন।