চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অভ্যন্তরে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৭ দালালকে আটক করে র্যাবের একটি বিশেষ টিম। পরে আটককৃতদের দণ্ড দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক। গতকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অভিযান চলে। দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪জনকে দুই মাস করে, একজনকে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অন্য দুই জনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে মো. ইকবাল মিয়া, বাদল দাস, মো. রাসেল হোসেন, মো. আবু জাফরকে দুই মাস করে এবং মো. সালাউদ্দিনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি ইসতিয়াক মোহাম্মদ ফরহাদ ও মো. মোমিনকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। পরে কারাদণ্ড প্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযোগ রয়েছে, চমেক হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির দালাল ও প্রতারক চক্র ন্যায্যমূল্যের ওষুধ কেনার নামে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি, স্লিপ কেড়ে নিয়ে চার পাঁচ গুণ বেশি দামে ওষুধ বিক্রি, সুকৌশলে তাদের পছন্দমত ল্যাবে পাঠিয়ে দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাবের একটি বিশেষ টিম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামনুন আহমেদ অনিক দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ও রোগীর স্বজনদের নির্ধারিত ল্যাবে পরীক্ষা করানো, স্লিপ কেড়ে নিয়ে বেশি দামে ওষুধ কেনার জন্য বাধ্য করছে কিছু দালাল চক্র। রোববার সকাল ১০টা থেকে আমরা অভিযান চালিয়ে ৭ জনতে হাতেনাতে ধরতে সমর্থ হয়েছি। তন্মধ্যে ৪ জনকে ২ মাস করে, একজনকে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্য দুইজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।