ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে সাড়ে ৬ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এদিকে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় আপিল বিভাগ স্থগিত করায় উচ্ছ্বসিত প্রার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে যোগদান করতে নিজ নিজ জেলায় ফিরে যাচ্ছেন। হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল করার অনুমতি দিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন। অর্থাৎ, হাই কোর্টের রায় আপাতত স্থগিত থাকবে এবং আপিলের চূড়ান্ত শুনানিতে বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন, অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও মুনতাসির আহমেদ। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাসির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আপিল বিভাগের এই আদেশের ফলে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগে সরকারের আইনগত কোনো বাধা আপাতত থাকল না।
মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচিত ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি, যোগদান ও পদায়ন করা বিষয়ে প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রার্থীগণ যারা স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি করা হবে ৪ মার্চ। ১২ মার্চের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকগণের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে হবে। প্রার্থীদের যথাযথভাবে পূরণকৃত পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম জেলা পুলিশ সুপার (এসবি)/সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে পাঠাতে হবে ১৩ মার্চের মধ্যে। পদায়ন আদেশ জারি করতে হবে ১৩ মার্চ। নির্ধারিত সময়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত কোনো প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র জারি না হলে, জেলা অফিসে যোগদান না করলে বা পদায়িত বিদ্যালয়ে যোগদান না করলে কারণ ও মতামতসহ তালিকা অফিদদপ্তরে পাঠাতে হবে ২০ মার্চের মধ্যে।
গত ৩১ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করে তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।