৬৩টি খালের কাজ একসাথে শেষ না করলে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি নেই

ফিজিবিলিটি স্টাডি করে ডিপিপি তৈরির নির্দেশ মেয়রের

| বৃহস্পতিবার , ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, নগরীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করাই আমার মূল কাজ। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে বন্দরনগরী মৌসুমী বৃষ্টিপাত এবং জোয়ারে জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছে। ৬৩টি খালের কাজ একসাথে শেষ না করলে নগরবাসী জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে পুরোপুরিভাবে মুক্তি পাবে না। বর্তমান পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং নগরের অসুস্থ ড্রেনেজ অবকাঠামোকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য চসিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি মেগা প্রকল্পের ৩৫টি খালের পাশাপাশি বাকি ২৮টি খালের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি করে ডিপিপি তৈরি করার জন্য প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
গতকাল বুধবার টাইগারপাস অস্থায়ী নগর ভবনে তার দপ্তরে সেন্টার ফর এনভাইরনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের কর্মকর্তাদের সাথে ইন্টেলেকচুয়াল সার্ভিস বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে ড্রেনের মাটি উত্তোলন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ওয়াসার পাইপ লাইন ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন গ্যাস লাইন পাইপগুলো ড্রেন বা কালভার্টের নিচ থেকে দ্রুত সরিয়ে নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। সিএস খতিয়ানে খালগুলোর অস্তিত্ব থাকলেও সেখানে বহুতল ভবনসহ নানা ধরনের স্থাপনা রয়েছে। এই দখলকৃত খালগুলো চিহ্নিত করে এগুলো অবশ্যই পুনরুদ্ধার করা হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি ময়লা, আবর্জনা ও পলিথিন ড্রেনে না ফেলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। ড্রেনেজ রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার উন্নয়ন, যা ভবিষ্যতের ক্ষতি থেকে নগরীর নিষ্কাশন এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। নগরীর বাসিন্দাদের ক্রমাগত দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য নিষ্কাশন অবকাঠামোর দ্রুত এবং কার্যকর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
সিইজিআইএসের উপদেষ্টা সামিউল ওয়াহাব চৌধুরী বলেন, সিইজিআইএস মেগা প্রকল্পের ৩৫টি খালের ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক উন্নয়নে কাজ করছে। ডিজিটাল কর নির্ধারণ ও প্রদান ব্যবস্থা, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিতকরণ, ছাদ বাগানের জন্য ভবন চিহ্নিতকরণ, ড্রেনেজ ডেভেলপমেন্ট ও মনিটরিং এবং ডাটাবেজ তৈরির কাজ এবং যোগাযোগ বিষয়ে কাজ করার আগ্রহের কথা মেয়রকে অবহিত করেন। মেয়র তাদের আগ্রহের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, নগর পরিকল্পনাবিদ আব্দুল্লাহ আল ওমর, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসানুল্লাহ মিয়া, মোতালেব হোসেন সরকার, মেজর জিয়া, মনোয়ারুল হক প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাঠ জুড়ে যেন হলুদ গালিচা
পরবর্তী নিবন্ধযেখানে সঙ্গীত আছে, সেখানে বেঁচে থাকার আনন্দ আছে