যুগপৎ আন্দোলনে শরিকদের মধ্যে কাদের কত আসন দেওয়া হবে, তা ঘোষণা না করলেও ৬৩ আসন ফাঁকা রেখেছে বিএনপি। সবশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি জোট শরিকদের জন্য ২২টি আসন রেখেছিল।
আসন্ন ২০২৬ সালের নির্বাচনের জন্য প্রাথমিকভাবে ২৩৭টি আসনে ধানের শীষের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বিকালে গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই তালিকা পড়ে শোনান। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, যে সমস্ত আসনে তারা আগ্রহী, সে সমস্ত আসনে আমরা কোনো প্রার্থী দিইনি। আমরা আশা করছি তারা তাদের নাম ঘোষণা করবেন, তখন আমরা চূড়ান্ত করব। এটা হচ্ছে আমাদের সম্ভাব্য তালিকা, এখানে পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে যারা শরিক দল আছেন, তাদের সাথে আলোচনা করে আমরা কোনো কোনো আসনে পরিবর্তন আনতে পারি। খবর বিডিনিউজের।
২০১৮ সালের নির্বাচনে জোট শরিকদের মধ্যে গণফোরামকে সাতটি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে চারটি, জেএসডিকে চারটি, এলডিপিকে চারটি, খেলাফত মজলিশকে দুটি এবং কল্যাণ পার্টিকে একটি আসন ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি।
আওয়ামী লীগের আমলে ওই নির্বাচনের সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছিলেন কারাগারে। গণফোরাম নেতা কামাল হোসেনকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ভোটে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। প্রশ্নবিদ্ধ সেই ভোটে বিএনপি পাঁচটি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সাতটি আসন পেয়েছিল।
বিএনপি, জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো ২০২৪ সালের নির্বাচন বর্জন করে। সেই নির্বাচনে আগে বিএনপি তাদের ২০ দলীয় জোটের অবসান ঘটিয়ে পুরনো শরিকদের নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনে নামে। সেই নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার সরকার গঠন করলেও ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার টানা ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়।
এদিকে জামায়াত এখন ধর্মভিত্তিক আটটি দল নিয়ে আলাদাভাবে আন্দোলন করছে। এর বাইরে বিএনপির জোট শরিকদের মধ্যে পুরনো কারা এবারের নির্বাচনে সঙ্গী হচ্ছে তা এখনো স্পষ্ট হয়নি।












