৬ মাঝিমাল্লা ফিরেছে নিখোঁজ এখনো ১৩

মহেশখালী প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ১০ দিন ধরে নিখোঁজ মহেশখালী ও চকরিয়ার কোনাখালীর ১৯ মাঝিমাল্লার মধ্যে গতকাল ৬ জন ফিরে এসেছে। দুটি বোটে করে এই ১৯ জন সাগরে গিয়েছিলেন।

কালারমার ছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আঁধারঘোনা গ্রামের নুরুল ইসলাম জানান, এই ১৯ জনের মধ্যে একটি বোটে তার গ্রামের ৬ জন ছিল। তারা মাছ ধরা শেষে গতকাল ১৭ এপ্রিল বাড়িতে ফিরে এসেছে। অপর বোটে থাকা বাকি ১৩ জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি। জানা গেছে, এই ১৩ জেলের পরিবার থেকেও সংশ্লিষ্ট থানায় কোনো অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরি করা হয়নি।

ঘটনার বিষয়ে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রণব চৌধুরী জানান, বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজদের মধ্যে ৬ জন ফিরেছে এবং ১৩ জন এখনো ফিরেনি বলে শুনেছি। শাপলাপুর ও চকরিয়াার কোনাখালির কিছু লোকজন থানায় এসেছিল খবর নেওয়ার জন্য। তারা কোনো লিখিত অভিযোগ বা ডায়েরি করেনি। ঘটনাটি গভীর বঙ্গোপসাগরে সংঘটিত। এটি আমার থানার আওতাভুক্ত এলাকায় নয় বলে বিস্তারিত জানা নেই। ফিরে আসা জেলে ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৭ এপ্রিল মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ছনখোলা পাড়া গ্রামের মৃত রফিক আলমের পুত্র শামসুল আলম তার মালিকানাধীন ইঞ্জিনচালিত একটি ফিশিং বোট নিয়ে তিনিসহ ১৪ জন মাঝিমাল্লা বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যান।

শামসুল আলমের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার বলেন, আমার স্বামী সাগরে গিয়ে মাছ ধরে চলে আসেন। তার ফোন বন্ধ পাচ্ছি। আমি জানি না তিনি কোথায় রয়েছেন, কীভাবে আছেন। বিভিন্নজনের কাছ থেকে নানা কথা শুনতে পাচ্ছি। তাদের খোঁজ পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।

এদিকে হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাঝেমল্লা নিখোঁজের বিষয়টি সত্য।

এদিকে সাগর থেকে মাছ ধরে ফিরে আসা লোকজন এবং স্থানীয় সূত্রে বলা হচ্ছে, জলদস্যুতার অভিযোগে একটি বোটকে মাতারবাড়ি এলাকার ৪/৫টি বোট আক্রমণ করে সাগরে ডুবিয়ে দিয়েছে। তবে এ বক্তব্যের সত্যতা সম্পর্কে দায়িত্বশীল কারো কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৃষ্টির সম্ভাবনা, তবুও থাকবে গরম
পরবর্তী নিবন্ধপরিচালকসহ ৪ কর্মচারী বরখাস্ত, তদন্তে কমিটি