বঙ্গবন্ধু ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে ছয় দফা উপস্থাপন করার পর সকল রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করতে থাকলো, এমনকি অনেক আওয়ামী লীগ নেতা যখন নিশ্চুপ হয়ে যায় তখন ৬ দফার পক্ষে বিবৃতি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন জননেতা আব্দুল্লাহ আল হারুন। তিনি বুঝেছিলেন বঙ্গবন্ধুর ৬ দফায় হচ্ছে বাঙালির মুক্তির সনদ। যদি বিবৃতি দেওয়া হয় তাহলে আস্তে আস্তে ছয় দফার পক্ষে জনমত সৃষ্টি হবে, সাহস করে আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা ৬ দফার পক্ষে কথা বলবে এবং বাঙালিরা বুঝতে পারবে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফায় হচ্ছে বাঙালির মুক্তির সনদ। তিনি একটি বিবৃতি লিখে তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এম এ হান্নান এর হাতে দিলেন, বিবৃতিটি পড়ে জননেতা এম এ হান্নান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজকে দিলেন। জননেতা এম এ আজিজ ধীর স্থির ভাবে পড়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। চট্টল শার্দুল জননেতা এম এ আজিজ বঙ্গবন্ধুকে বললেন, আব্দুল্লাহ আল হারুন ছয় দফার পক্ষে একটি বিবৃতি লিখেছেন, একথা বলে তিনি টেলিফোনটা জননেতা আব্দুল্লাহ আল হারুনকে ধরিয়ে দিলেন। তখন জননেতা আব্দুল্লাহ আল হারুন বিবৃতিটা বঙ্গবন্ধুকে পড়ে শোনান। শোনার পর খুব উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং বিবৃতিটি পত্রিকায় দেওয়ার জন্য সম্মতি প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু। পত্রিকায় পাঠানোর জন্য আব্দুল্লাহ আল হারুন কর্তৃক লিখিত বিবৃতিটি এক পৃষ্ঠা আব্দুল্লাহ আল হারুন, আরেক পৃষ্ঠা এম এ হান্নান ও অন্যপৃষ্ঠা এ কে এম আব্দুল মান্নান হুবহু কপি করে ইত্তেফাকে পাঠান।
১৯৬৬ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়-‘চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা জনাব এম এ আজিজ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল হারুন, দপ্তর সম্পাদক এম এ হান্নান ও জনাব জানে আলম দোভাষ রবিবার এক যুক্তি বিবৃতিতে বলেন, সাম্প্রতিক লাহোর সম্মেলনে যোগদান কারী আওয়ামীলীগ দলীয় প্রতিনিধি দলের নেতা জনাব শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামীলীগ দলীয় প্রতিনিধিরা যে সুচিন্তিত বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করিয়াছেন তাহাতেই ইহা প্রমাণ করে যে শুধুমাত্র বিরোধিতার খাতিরেই বিরোধিতা করা বা ক্ষমতার লোভে রাজনীতি করা আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য নয় অথবা গোলা জলে মাছ শিকার করার প্রবণতা আওয়ামী লীগের নেই। আমরা আশা করিয়াছিলাম যে প্রস্তাবিত লাহোর সম্মেলন যুদ্ধ–পূর্ব, যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধোত্তরকালের দেশের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সমস্যাদি কষ্টি পাথরে বিচার বিশ্লেষণ করিয়া দেশকে বাস্তবানুগ নেতৃত্ব দানের কর্মপন্থা নির্ধারণ করিবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় লাহোর সম্মেলন যে সাম্প্রতিক তাসখনদ চুক্তির বিরোধিতা করার উদ্দেশ্যে আহুত হইয়াছিল ইহাই প্রমাণ হইল। আমরা মনে করি তাসখনদ চুক্তি সাম্প্রতিক পাক ভারত ভয়াবহ যুদ্ধের ফলশ্রুতি। পাক ভারত শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা আওয়ামীলীগ দলের বহু আকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব হইলেও তাসখনদ চুক্তি পাক ভারত বন্ধুত্ব সম্পন্ন সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সহায়ক হইবে। সুখের বিষয় ভারতের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উঠিলে যাহারা তাহা বাকা চোখে দেখিতেন ও তাহা উহার প্রস্তাবকদের নিন্দা করিতেন আজ তাহারাও তাসখনদ চুক্তির অন্যতম প্রবক্তা। বিলম্ব হইলেও বাস্তবতার চাপে তাহাদের যে চক্ষু খুলিয়াছে ইহাই আশার কথা। আজ দেশের আপামর জনসাধাণ ইহাই বুঝতে পারিয়াছে যে কোনো গুরুত্ব সমস্যারই সমাধানের পথ বল প্রয়োগেই নয়। আর পাকিস্তান ও ভারত যুদ্ধের বিলাসিতাও করিতে পারে না। লাহোর সম্মেলনের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করিয়া তাই পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামীলীগ ইহাই প্রমাণ করিল যে পূর্ব বাংলার সিদ্ধান্ত ও নেতৃত্ব সঠিক পথে পরিচালিত হইতেছে। তাই আমরা জনাব মুজিবুর রহমান সাহেবকে অভিনন্দন জ্ঞাপন করিতেছি পরিশেষে আমরা জনসাধারণের কাছে আবেদন করবো লাহোর সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক দাবিকৃত ছয় দফা যথা পূর্ণ গণতন্ত্র কায়েম, আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন, আঞ্চলিক রক্ষা ব্যবস্থা ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক বিধিব্যবস্থা, পার্লামেন্টারি শাসন ব্যবস্থা ইত্যাদি কায়েম করার জন্য দুর্বার গণ আন্দোলন গড়িয়া তুলুন।’ এই বিবৃতিই ছিল ছয় দফারপক্ষে প্রথম বিবৃতি।
ছয় দফার মর্ম কথা বুঝে সাহস করে ছয় দফার পক্ষে প্রথম সমর্থন দেওয়ার কারণে বঙ্গবন্ধু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন চট্টগ্রাম থেকে জনসভার সূচনা করবেন। তাই বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ ও শহরে আওয়ামী লীগের নির্দেশ দিয়েছিলেন ছয় দফার পক্ষে জনমত তৈরির জন্য জনসভা করার। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৬৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে জনসভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম জেলা ও শহর আওয়ামীলীগ। জননেতা জহুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর বাঙালি মুক্তির দূত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৬ সালের ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধু ছয় দফার পক্ষে সন্দ্বীপে জনসভা করেন। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সন্দীপের সর্বস্তরের মানুষ এই জনসভায় যোগ দেয়। জনসভায় শেখ মুজিব বলেন, ‘আপনাদের এবং পরবর্তী বংশধরদের খেয়ালে প্রকৃতির নিষ্ঠুরতার হাত হইতে বাঁচানোর জন্য আপনারা দ্বীপের চতুর্দিকে একটি প্রতিরক্ষা বাঁধ দাবি করিয়াছেন। আপনাদের দাবির সঙ্গে আমি একমত। বিগত যুদ্ধের সময় দেখা গিয়েছে যে গোটা পূর্ব পাকিস্তান সন্দ্বীপের মত একটি দ্বীপ। সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক ছিল না। তাই পূর্ব পাকিস্তানকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সর্বনাশের হাত হতেই বাঁচাবার জন্য একটি নিরাপত্তা বাঁধের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।‘ উক্ত জনসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন এ আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হারুন, দপ্তর সম্পাদক এমএ হান্নান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সন্দ্বীপের জনসভার পরের দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামের সাতকানিয়া সফর করেন। উক্ত জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, এদেশে থেকে যারা আয়ুবের দালালি করে তাদেরকে শেষ করতে হবে। সাতকানিয়ার জনসভায় আব্দুল্লাহ আল হারুন ছয় দফার সমর্থন প্রসঙ্গে বলেন, চট্টগ্রাম থেকেই আমরা প্রথম ছয় দফা সমর্থন করেছি। উক্ত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ডাক্তার সিরাজ উদ্দিন আহমেদ। ১৯৬৬ সালের ১৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার দাবিতে খুলনায় সমাবেশ করেন। ঐদিন রাতেই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম ফুঁসে ওঠে। ১৮ এপ্রিল আবার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। ১৯৬৬ সালের ২১ এপ্রিল ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধুকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ২২ তারিখ পুরো চট্টগ্রাম জেলায় বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। ২৩ এপ্রিল দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত খবরে বলা হয় শেখ মুজিবুর রহমানকে হয়রানির দরুণ ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ইতিমধ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠিয়াছে অপরাহ্ন পাঁচটায় লালদীঘি ময়দান হইতে হাজার হাজার জনতা মিছিল সহকারে শেখ মুজিবুর রহমান জিন্দাবাদ শেখ মুজিবকে হয়রানি করা চলবে না ছয় দফা দাবি মানতে হবে, রাজনীতিতে তলপীগীরী চলবেনা প্রভৃতি স্লোগান দিতে দিতে শহরের বিভিন্ন রাজপথ প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শহরে প্রবেশ করিলে পথচারী জনতা ও ক্রমে ক্রমে মিছিল–শামিল হইতে থাকে। ছয় দফার দাবিতে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৮ই মে নারায়ণগঞ্জে সমাবেশ করে। ঐদিন রাতেই বঙ্গবন্ধুকে আবার গ্রেফতার করা হয়। ঐদিন চট্টগ্রাম শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি জহুর আহমদ চৌধুরী ও চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের গ্রেফতার করা হয়। এম এ আজিজের অনুপস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয় তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা আব্দুল্লাহ আল হারুন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেতা জহুর আহমদ চৌধুরীর অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় ডাক্তার সৈয়দুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধু, এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ ৯ মে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর ছয়দফার সমর্থনে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের আওতাধীন বিভিন্ন থানা প্রায় ৩০০ এর অধিক জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত খবরে বলা হয় ‘১৯৬৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ৬ দফার দাবিতে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে। উক্ত সমাবেশে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ বলেন, ৬ দফা দাবি পাকিস্তানকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করিবে জনাব আজিজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে আরো জোরদার করিয়া তোলার উদ্দেশ্যে বিরোধী দলসমূহ কে আহ্বান জানান। উক্ত জনসভায় বক্তব্য করেন জননেতা জহুর আহম্মদ চৌধুরী জননেতা আব্দুল্লাহ আল হারুন, জননেতা এম এ হান্নান, আব্দুল ওহাব, দোস্ত মোহাম্মদ প্রমুখ। জননেতা জহুর আহমদ চৌধুরী বলেন, ৬ দফা দেশের উন্নত ধরনের সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এক মহান পথের সন্ধান দিবে।’ জনাব আব্দুল্লাহ আল হারুন বক্তৃতায় বলেন, ‘পূর্ব পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে একতার বন্ধন আরও শক্তিশালী করার ভিত্তি হইতেছে ৬ দফা।’ সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে ছয় দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানানো হয়। ১৯৬৭ সালে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতা ছয় দফা কে বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্রে নেমে পড়ে। ১৯ মে তারা পিডিএম গঠন করে ৮ দফা নামে একটি কর্মসূচি হাজির করে। কিন্তু আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতা ৬ দফার পক্ষে অবস্থান নেন। ১৯ আগস্ট ১৯৬৭ আওয়ামী লীগের বিশেষ কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ৯৫০ জন কাউন্সিলের মধ্যে ৮৮৬ জন উপস্থিত ছিলেন। ছয় দফা বিরোধিতাকারীদের দল থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে নেতাদের মধ্যে দুটি মত দেখা দেয় একটি হচ্ছে ছয় দফা বিরোধীদের দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের পক্ষে আরেক পক্ষ ছিলেন সাময়িকভাবে বহিষ্কারের পক্ষে। চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা ছিলেন স্থায়ী বহিষ্কারের পক্ষে। চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ চিরস্থায়ী বহিষ্কারের পক্ষে যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। ৬ দফার পক্ষে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ ভূমিকার কারণেই এই কমিটিতে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জননেতা এম এ আজিজকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা নিছক কোনো ছয়টি দফা নয় যার শেষ পরিণতি এই স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। ছয় দফার পক্ষে প্রথম বিবৃতি, ৬ দফার পক্ষে প্রথম জনসভা ও ৬ দফা বিরোধীদের চিহ্নিত করে তাদের দল থেকে বের করে দেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম জেলা ও শহর আওয়ামী লীগ যে অনন্য ভূমিকা পালন করেছে তা বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা আওয়ামী লীগের চেয়ে শুধু বেশি অবদান নয় অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি।