নগরীতে এক আইনজীবী জালিয়াতির মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা চেক ডিজঅনার মামলা দিয়ে এক দম্পতিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আদালত দুই বছর আগের মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামি হিসেবে থাকা ওই দম্পতিকে খালাস দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার ষষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটির শুনানি শেষে আসামি দম্পতিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। মামলা থেকে অব্যহতি পাওয়া আসামিরা হলেন মো. ফোরকান ও তার স্ত্রী কাউসার জাহান শেলী। এরা দক্ষিণ মাধ্যম হালিশহরের বাসিন্দা।
বিবাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট উজ্জল সরকার গতকাল আজাদীকে বলেন, ২০১৮ সালে আবুল কালাম আজাদ নামে এক আইনজীবী বাদী হয়ে মো. ফোরকান ও তার স্ত্রী কাউসার জাহান শেলীর বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকা একটি চেক ডিজঅনারের মামলা করেন। পরে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন। গত ২৮ ডিসেম্বর সিআইডি চট্টগ্রামের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিবেকানন্দ মন্ডল চেকের স্বাক্ষরসহ অন্যান্য দলিলাদির পরীক্ষা সম্বলিত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে চেকের স্বাক্ষরসহ অন্যান্য কাগজপত্র জাল জালিয়াত প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মামলাটির শুনানি শেষে আসামিদের অব্যাহতি দেন।
এর আগে দম্পতির বিরুদ্ধে আইজীবী অভিযোগ আনেন, ২০০১ সালে ২৫ জুলাই ফোরকানকে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ দেয়। এ সময় সাক্ষী রাখা হয়েছিল ফোরকানের স্ত্রীকে।
টাকা ফেরত না দেয়ায় প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ফোরকানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন(নং-১১/২০০৯)।
এসময় বিবাদীরা সতেরো বছরের ক্ষতিপূরণসহ ৫০ লাখ টাকা প্রদানে সম্মত হয় বলে বাদী অভিযোগ আনেন।
২০১৭ সালে ১৪ ডিসেম্বর ফোরকান ও তার স্ত্রীর যৌথ অ্যাকাউন্টের ব্রাক ব্যাংকের ৫০ লক্ষ টাকার একটি চেক বাদীকে দেয়া হয় বলে আরজিতে উল্লেখ করা হয়। ওই বছরই ২০ ডিসেম্বের চেকটি ডিজঅনার হয় বলে আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ এনেছিলেন। এসময় বিবাদীদের লিগ্যাল নোটিশও দেয়া হয় বলে অভিযোগ জানানো হয়। এবিষয়ে মামলার বাদী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ গতকাল আজাদীকে বলেন, এ মামলার রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি। এ রায়ের বিরুদ্ধে শীঘ্রই দায়রা জজ আদালতে আপিল করা হবে।
অ্যাডভোকেট উজ্জল সরকার বলেন, এই ৫০ লাখ টাকার ঘটনা ছাড়াও নাছির খান নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে এ আইনজীবী আমার মক্কেল ফোরকানের বিরুদ্ধে আরও ৩৫ লাখ টাকার একটি চেক ডিজঅনার মামলা করেছেন। এ মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।