চার লাখ সন্দ্বীপবাসীর যাতায়াতের নতুন দিগন্তের সূচনা হচ্ছে আজ। দ্বীপ অঞ্চল-সন্দ্বীপবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল তাদের চলাচলে নতুন জাহাজ যুক্ত করার। অবশেষে সন্দ্বীপবাসীর সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণের দিন আজ। বিআইডব্লিউটিসি’র ৫ শতাধিক যাত্রীর ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এমভি আইভি রহমান আজ সদরঘাট থেকে সন্দ্বীপ রুটে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করছে। আজ ভোর ৬টায় জাহাজটি সদরঘাট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্দ্বীপ রুটে চলাচল শুরু করবে। এরপর থেকে নিয়মিতভাবে কুমিরা-সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া রুটে যাতায়াত করবে।
গত ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিলাসবহুল অত্যাধুনিক এই জাহাজটির উদ্বোধন করেন। গত ১৭ জুন থেকে চলাচল শুরু করার দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছিলো। কিন্তু সাগরে তিন নম্বর সিগনালের কারণে পিছিয়ে যায় আনুষ্ঠানিক যাত্রা। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ম্যানেজার (কমার্শিয়াল) ফয়সাল আলম চৌধুরী আজাদীকে জানান, এমভি আইভি রহমানে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৫শ’। সন্দ্বীপ রুটে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ১৩০ টাকা। এমভি আইভি রহমান এখন থেকে নিয়মিতভাবে কুমিরা-সন্দ্বীপ-গুপ্তছড়া রুটে চলাচল করবে। ২০০০ সালে এমভি বার আউলিয়ার পর দীর্ঘ ২০ বছর আমরা নতুন কোনো জাহাজ পাইনি। এবার নতুন দুটি জাহাজ পেলাম। চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ রুটে এমভি আইভি রহমান এবং চট্টগ্রাম-হাতিয়া-বরিশাল রুটে এমভি তাজউদ্দীন আহমদ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দীর্ঘদিন ধরে জাহাজ সংকটে ছিল। এমভি বার আউলিয়া, এমভি আবদুল মতিন ও মনিরুল হক-এই তিনটি জাহাজ ছাড়া আর কোনো ছিল না। নতুন দুটি জাহাজ যুক্ত হওয়ায় বিআইডব্লিউটিসির যাত্রী পরিবহনে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে। দীর্ঘদিন পর সেবার মানও বাড়বে। এ জাহাজ দুইটির মাধ্যমে বছরে ৬ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে বলে জানান ফয়সাল আলম চৌধুরী।