রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা ও আরএসও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে। এতে ৫ জন আরসা সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার ক্যাম্প–৮/ইস্টের একাধিক ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ক্যাম্প–৮ ওয়েস্টের সাব ব্লক এইচ/৪৯ এর আরসার হেড জিম্মাদার আনোয়ার হোসেন (২৪), এ/২০ ব্লকের মো. হামীম (২৮), ক্যাম্প ১০–এর এইচ/৪২ ব্লকের মৃত আবদুল কাদেরের পুত্র নজিবুল্লাহ (৩০) ও ক্যাম্প ১৩–এর বি/১৭ ব্লকের বৈদ্য বসরের ছেলে নুরুল আমিন (২২)। নিহত অপর রোহিঙ্গার নাম জানা যায়নি।
৮ এপিবিএন পুলিশের এএসপি মো. ফারুক আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। গুরুতর আহত অবস্থায় নজিবুল্লাহ (৩০) ও নুরুল আমিনকে (২২) পরে উখিয়ার আইওএম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তারা সবাই আরসার সদস্য।
৮ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, ভোরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীদের দুই দলের গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়। আহত আরও দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারাও মারা যান। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
রোহিঙ্গারা জানান, ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণে কিছুদিন ধরে আরসা (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) ও আরএসওর (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন) মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব চলছে। এর জেরে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এতে ৫ জন মারা গেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে কুতুপালং ১/ওয়েস্ট ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে এক ব্লক মাঝি নিহত হন। এসব ঘটনায় ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর আগেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে।