মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে কাপ্তাই এবং রাঙামাটিতে এখন নিয়মিত ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণও যথারীতি রুলকার্ভের (পানির পরিমাপ) চেয়ে বেশি রয়েছে। কাপ্তাই লেকে পানি বেশি থাকার ফলে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। তবে ৫টি জেনারেটর থেকে টানা ৩ মাস ২২০ মেগাওয়াটের চেয়ে বেশি পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও বর্তমানে একটি জেনারেটরে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফলে এখন ৪টি জেনারেটর বিদ্যুৎ উৎপাদনে সচল রয়েছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের কাপ্তাই ও রাঙামাটিতে টানা ভারী বৃষ্টিপাত হবার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি গতকাল রাত ৮টার সময় মুঠোফোনে বলেন, কাপ্তাই লেকে বর্তমানে ১০৭ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল) পানি রয়েছে। লেকে পর্যাপ্ত পানি থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনও অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে ৪টি জেনারেটর বিদ্যুৎ উৎপাদনে সচল রয়েছে। এই ৪টি জেনারেটর থেকে ১৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। যার পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। তবে ১ নম্বর জেনারেটরে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ত্রুটি সারানোর জন্য কাজ করা হচ্ছে। ত্রুটি সারিয়ে ১ নম্বর জেনারেটরটিকে উৎপাদনে নেওয়া সম্ভব হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ২২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত হতে পারে বলেও তিনি জানান।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, এবছর কাপ্তাই এবং রাঙামাটিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই লেক থেকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ স্পিলের ১৬টি গেইট ১৩ দফায় খুলে অতিরিক্ত পানি কর্ণফুলী নদীতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। কাপ্তাই লেকে পাড়তি পানি থাকায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ে মাত্র ১৬ পয়সা। টানা বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাড়তি মুনাফা করেছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।