পিডিবি চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলে (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলা) বিদ্যুতের ৪ লাখ প্রিপেইড মিটার বসানো প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে ২০২৬ সালের জুনে। ইতোমধ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ২ লাখ ৪৭ হাজার প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের অবশিষ্ট মিটার বসানোর কাজ চলমান আছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। বিউবো বিতরণ দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার বসানোর ৬১৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০২২ সালে। বিউবো বিতরণ দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান দপ্তর থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুতের মোট গ্রাহক ১৬ লাখ ২৮ হাজার। চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রিপেইড বিদ্যুৎ মিটারের আওতায় এসেছে প্রায় ৯ লাখ গ্রাহক।
পিডিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চলমান প্রকল্পের আগেও পিডিবির নিজস্ব অর্থায়নে প্রিপেইড মিটার বসানো হয়েছিল। বর্তমানে চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পরবর্তী গ্রাহকদের জন্য আবারও প্রকল্প নেয়া হতে পারে বলে জানান।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের পরিচালক ও পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, আমার অধীনে চট্টগ্রাম অঞ্চলে পিডিবির প্রিপেইড মিটার বসানোর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে। আমার প্রকল্পের অধীনে ৩ লাখ ৯৭ হাজার মিটার বসানো হবে। এরমধ্যে ২ লাখ ৪৭ হাজার মিটার বসানো হয়েছে। অবশিষ্ট মিটার বসানোর কাজ চলছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের জুনে।
প্রকল্পের অর্থায়নের ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম জানান, মোট ৬১৯ কোটি টাকার এই প্রকল্পে পিডিবির নিজস্ব অর্থায়ন রয়েছে ১২০ কোটি টাকা এবং সরকারের ১শ’ ৬৯ কোটি টাকা। অবশিষ্ট টাকা এডিবির। প্রকল্পের অধীনে চায়না থেকে প্রতিটি প্রিপেইড মিটার ক্রয়ে পিডিবির ৭ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম। এদিকে পিডিবির প্রিপেইড মিটার নিয়ে পিডিবির কর্মকর্তারা আত্মসন্তুষ্টিতে উপভোগ করলেও গ্রাহকরা এটা তাদের গলার কাঁটা হিসেবে দেখছেন। প্রিপেইড মিটার নিয়ে বিদ্যুতের গ্রাহকদের অভিযোগের অন্ত নেই। ডিমান্ড চার্জের নামে টাকা আদায়, বাড়তি মিটার ভাড়ার অভিযোগ অহরহ।