৪ মাসের মধ্যে বাঁকখালীর দখল উচ্ছেদ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের নির্দেশ

| মঙ্গলবার , ২৬ আগস্ট, ২০২৫ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালীর বর্তমান প্রবাহ এবং আরএস জরিপের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণপূর্বক নদীটিকে সংরক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসাথে নদীটিকে আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা ও সে মোতাবেক ব্যবস্থাপনা করার নির্দেশ দেন আদালত।

গত ২৪ আগস্ট (রোববার) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা একটি মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী জিনাত হক এবং বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দীকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ এ বায় দেন। খবর বাসসের।

আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মিনহাজুল হক চৌধুরী, মোহাম্মদ আশরাফ আলী ও অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল রাশেদুল হক। অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ে বলা হয়, নদীর সীমানায় বিদ্যমান সকল দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করে আগামী ৪ মাসের মধ্যে তা উচ্ছেদের ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি পূর্বে প্রদত্ত রুল চূড়ান্তকরণের মাধ্যমে নদী এবং নদী সংলগ্ন এলাকা ভিন্ন উদ্দেশ্যে ইজারা প্রদান করা থেকে বিরত থাকতে, নদী এলাকার ম্যানগ্রোভ বন ফিরিয়ে আনতে এবং নদী এলাকায় ইতোপূর্বে প্রদান করা সকল ইজারা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। রায় অনুযায়ী, নদীটির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়মিত তদারকির স্বার্থে মামলাটিকে আদালত চলমান মামলা হিসেবে ঘোষণা করে প্রতি ৬ মাস পর পর অর্থাৎ প্রতিবছর জানুয়ারি ও জুলাই মাসে উল্লিখিত নির্দেশ প্রতিপালন প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে।

দখল থেকে নদীটিকে মুক্ত করে এর জৌলুস ফিরিয়ে আনতে ২০১৪ সালে বেলা প্রতিকার চেয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে মামলাটি দায়ের করে। বেলা কর্তৃক দায়ের করা মামলা বানচাল করতে দখলকারীরা ২০২৩ সালে অপর একটি মামলা দায়ের করে যা গতকাল (২৪ আগস্ট) খারিজ করেছেন আদালত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআশেকানে মোস্তফা (দ.) তরুণ পরিষদের সুন্নি সম্মেলন
পরবর্তী নিবন্ধকালন বড়ুয়া