প্রথমবারের মতো আগামী ৪ জুন উদযাপন করা হবে জাতীয় চা দিবস। বর্ণিল আয়োজনে দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে গত ১১ এপ্রিল চা শিল্পের অংশীজনদের নিয়ে জুম এপ্লিকেশনের মাধ্যমে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় চা দিবসের সম্ভাব্য কর্মসূচি, ভেন্যু ও বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া চায়ের মানবৃদ্ধি, উৎপাদন ব্যয় কমানো, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, চা শ্রমিকদের কল্যাণ, চা চোরাচালান বন্ধ করাসহ চা শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।
মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘৪ জুন তারিখটি চা শিল্পের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৫৭ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে চা বোর্ডের দায়িত্ব নেন। এ দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য ৪ জুন তারিখকে জাতীয় চা দিবস হিসেবে সরকার ঘোষণা করেছে। খবর বাংলানিউজের।
প্রথমবারের মতো জাতীয় চা দিবস জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে তিনি অংশীজনদের সর্বাত্মক সহযোগিতার অনুরোধ জানান। সভায় চা বোর্ডের সদস্য (অর্থ ও বাণিজ্য) ড. নাজনীন কাউসার চৌধুরী বলেন, কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ চা বোর্ড। জাতীয় চা দিবসে কেন্দ্রীয়ভাবে চা দিবস উদযাপনের পাশাপাশি একযোগে চা উৎপাদনকারী তিনটি অঞ্চল- সিলেট, চট্টগ্রাম এবং উত্তরাঞ্চলেও চা দিবস উদযাপন করা হবে। চা চাষ ও চা ব্যবসাকে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চা উৎপাদক, রফতানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত করারও পরিকল্পনা রয়েছে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে চা মেলা আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়ন নির্ভর করবে কোভিড পরিস্থিতির ওপর। চা দিবস আয়োজনের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে চা বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে।
সভায় অংশ নেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের সদস্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী, চা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহ আলম, টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিটিএবি) চেয়ারম্যান শাহ মাইনুদ্দিন হাসান, টি প্লান্টার্স ও ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের (টিপিটিএবি) সভাপতি মেসবাহুর রহমান, বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল হক খোকন, বাংলাদেশ বটলিফ ফ্যাক্টরি ওনার্স অ্যাসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, ডানকান ব্রাদার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান আহমেদ, জেমস ফিনলে গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএএ মাসরুর, হালদা ভ্যালি টি এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাদের খান, কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেডের শোয়াইব আহমেদ, ন্যাশনাল ব্রোকার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম সাইফুল ইসলাম, প্রগ্রেসিভ ব্রোকার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলতামাস হাসান প্রমুখ।