অবশেষে ৩৩ দিন পর স্বাভাবিক হয়েছে টেকনাফ–সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল। গতকাল রোববার সকালে টেকনাফ ঘাট থেকে ২ টি ট্রলার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সেন্টমার্টিন থেকেও যাত্রী নিয়ে ৪ টি ট্রলার ও ৭ টি স্পিডবোট বেলা ১২ টার দিকে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপে পৌঁছায়।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে টেকনাফ–সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু প্রশাসনের সহযোগিতায় বিকল্পপথে দুই বার সেন্টমার্টিনে যাওয়া–আসা করে ট্রলার। পরবর্তীতে সাগর উত্তাল থাকায় ৩৩ দিন বিকল্প পথও বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে গতকাল সকাল ৯ টায় সেন্টমার্টিন জেটি থেকে যাত্রী নিয়ে টেকনাফে যায় একটি ট্রলার। এরপর ৯ টা ২০ মিনিট, সাড়ে ৯ টা ও ৯ টা ৪০ মিনিটে আরও ৩ টি ট্রলার যাত্রী নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে সেন্টমার্টিন ছেড়ে যায়। এছাড়া ৭টি স্পিডবোট টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। শেষ পর্যন্ত বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ১ টার মধ্যে নিরাপদে ট্রলার ও স্পিডগুলো টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পৌঁছে। যেখানে প্রায় ২৫০ জনের বেশি যাত্রী ছিল।
চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পর টেকনাফ– সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল করছে। আগে মিয়ানমারের অভ্যন্তর হয়ে নৌযানগুলো চলাচল করত। কিন্তু মিয়ানমারের সংঘাতের কারণে এখন সাগরে জোয়ার আসলে বাংলাদেশের অভ্যন্তর হয়ে নৌযানগুলো চলাচল করছে। একই সঙ্গে প্রতিটি নৌযানে উঁচু করে জাতীয় পতাকা টাঙানো হয়েছে।
টেকনাফের স্পিডবোট সমবায় সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, টেকনাফ– সেন্টমার্টিন নৌরুটে স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে। গত শনিবারও সেন্টমার্টিন থেকে ৭টি স্পিডবোটে যাত্রী নিয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ পৌঁছেছে। গতকাল রোববার সকালেও ৭টি স্পিডবোট টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এসে পৌঁছেছে। মূলত সাগরে জোয়ার আসলেই বাংলাদেশের অভ্যন্তর হয়ে নৌযানগুলো চলাচল করছে।
এদিকে সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারে করে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ঘাটে পৌঁছানো যাত্রী আব্দুল মালেক বলেন, দীর্ঘদিন পর স্বাভাবিকভাবে ট্রলার করে টেকনাফ পৌঁছালাম। কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। অনেক খুশি লাগছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, স্বাভাবিক হয়েছে টেকনাফ– সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল। এখন পর্যন্ত সেন্টমার্টিন থেকে যাত্রীবাহী ৪টি ট্রলার ও ৭টি স্পিডবোট টেকনাফ পৌঁছেছে। আর ২টি খাদ্যপণ্য বোঝাই ট্রলার টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। যা বিকেল নাগাদ দ্বীপে পৌঁছে যাবে। আশা করি, সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।