দ্বিতীয় দফায় চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেটের দুই দিনের ভ্যাট মেলা করদাতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে গতকাল শেষ হয়েছে। মেলায় নতুন ভ্যাট নিবন্ধনের আবেদন জমা পড়েছে ৩৪২টি। এছাড়া ভ্যাট কমিশনারেটের অধীন ৮ বিভাগে মোট ৩ হাজার ২৪৩টি রিটার্নের বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ভ্যাট কমিশনারেটের কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ভ্যাট মেলায় করদাতাদের পদচারণায় মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গণ। করভীতি দূর করা এবং ভ্যাটের আওতা বাড়ানো ছিল আমাদের উদ্দেশ্য।
চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট সূত্রে জানা গেছে, আগ্রাবাদ বিভাগে নতুন নিবন্ধন আবেদন জমা পড়েছে ১৩৫টি এবং ৭২০ রিটার্নের বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এছাড়া চট্টলা বিভাগে নতুন ভ্যাট আবেদন জমা পড়েছে ৫০টি এবং ৮৭৪টি রিটার্ন দাখিলের বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ১০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অন্যদিকে চান্দগাঁও বিভাগে নতুন নিবন্ধন জমা পড়েছে ৩৯টি এবং ৩২৮টি রিটার্নের বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। অপরদিকে খাগড়াছড়ি বিভাগে নতুন নিবন্ধন জমা পড়েছে ১০টি। ১৫২টি রিটার্ন দাখিলের বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১০ লাখ টাকা। রাঙামাটি বিভাগে নতুন নিবন্ধন হয়েছে ১১টি এবং ২৪২টি রিটার্নের বিপরীতে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩১ লাখ টাকা। কক্সবাজার বিভাগে নতুন ভ্যাট নিবন্ধন হয়েছে ২৩টি। ৬৫৮টি রিটার্নের বিপরীতে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। বান্দরবান বিভাগে নতুন ভ্যাট নিবন্ধনের আবেদন জমা পড়েছে ৫৯টি এবং ৮টি রিটার্ন দাখিলের বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৭ লাখ টাকা। পটিয়া বিভাগে নতুন ভ্যাট আবেদন জমা পড়েছে ১৫টি এবং ২৬১টি রিটার্ন দাখিলের বিপরীতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৮৭ লাখ টাকা। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং উপ-কমিশনার মো. শাহীনূর কবীর পাভেল দৈনিক আজাদী বলেন, যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা ভ্যাট মেলার আয়োজন করেছি, সেটি সফল বলা যায়। প্রথম মেলার মতো এবারও করদাতারা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে করসেবা নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ এবং ১২ জানুয়ারির ভ্যাট মেলায় ভ্যাট কমিশনারেটের অধীন ৮ বিভাগে মোট ২ হাজার ৩৭৪টি রিটার্নের বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৮ কোটি ৮৫ লাখ ৭৭ হাজার ৪৬০ টাকা।