৩২ কিলোমিটারে পাঁচ বাইপাস নির্মাণ প্রকল্প চূড়ান্ত

জাপানের সাথে ঋণ চুক্তি, আগামী বছরের জুনের মধ্যে কাজ শুরু

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১ জুলাই, ২০২২ at ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ৩২ কিলোমিটার বাইপাস নির্মাণ প্রকল্পে জাপানের সাথে ‘ঋণ চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে। ডিপিপি পাস হওয়ার পর প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে আগামী বছর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী।

বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে জানা গেছে, জাপানের অর্থায়নে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাইপাস করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে-সেই পয়েন্টগুলো হলো-বিদ্যমান পটিয়া বাইপাসকে আরো চওড়া (৬ লাইন) করা, চন্দনাইশের দোহাজারী বাজার বাইপাস, সাতকানিয়ার কেরানীহাটে ১টি ফ্লাইওভার নির্মাণ, লোহাগাড়ার আমিরাবাদে বাইপাস নির্মাণ ও চকরিয়া বাইপাস।

এই ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, শ্যামল কুমার ভট্টাচার্য্য আজাদীকে জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ৫টি পয়েন্টে ৩২ কিলোমিটার বাইপাস নির্মাণ প্রকল্পে জাপানের সাথে আমাদের ‘ঋণ চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছে। যে ৫টি পয়েন্টে বাইপাস হবে-তার ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি হয়ে গেছে। এখন ডিটেইল ডিজাইনের পর ডিপিপি পাস হওয়ার পর টেন্ডার হবে। আগামী আগস্টে জাপানি প্রতিনিধিদের সাথে আবার বসবো। ৫টি পয়েন্টের বাইরে আরো বাকি যে অংশটুকু আছে আমরা চাচ্ছি সেই অংশটুকুও যেন তারা করে। আগস্টের বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রামে এক প্রকৌশলী জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৫টি বাইপাস ৬ লাইনের করতে চায় জাপান। আমরা তাদেরকে ৪ লাইন করতে বলেছি। এই ৫টি বাইপাসের বাইরেও যে অংশটুকু আছে সেটাও তাদেরকে করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আগস্টে তাদের সাথে আবার বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে তারা সিদ্ধান্ত জানাবে। তবে ৩২ কিলোমিটারের ৫টি বাইপাস নির্মাণ প্রকল্প প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি। গুরুত্বপূর্ণ এই ৫টি পয়েন্টে বাইপাস নির্মাণের ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রতিদিনের দীর্ঘ যানজট ও দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করছেন সড়ক ও জনপথের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।

উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে ৪৩তম ওডিএ ঋণ প্যাকেজ (১ম ব্যাচ) এর আওতায় দুটি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ‘এক্সচেঞ্জ অব নোটস’ ও ‘ঋণ চুক্তি’ এবং একটি প্রকল্পের জন্য ‘গ্রান্ট এগ্রিমেন্ট’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিদায়ী অর্থনীতি সম্পর্কিত বিভাগ (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বাংলাদেশের পক্ষে সকল চুক্তিতে এবং জাপানের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাউকি ‘এক্সচেঞ্জ অব নোটস’-এ ও ঢাকায় জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইউহো হাইকাওয়া ‘ঋণ চুক্তি’ ও ‘গ্রান্ড এগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।

মোট তহবিলের মধ্যে জাপান ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিট ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এমআরটি লেন ৫, নর্থান রুট) এর দ্বিতীয় পর্ব এবং দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১১, ৪০০ কোটি টাকা দেবে। নির্মাণের জন্য ঋণের সুদ হবে ০ দশমিক ৭০ শতাংশ, পরামর্শ সেবার জন্য ০ দশমিক ০১ শতাংশ এবং ১০ বছরের রেয়াতকালসহ এই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৩০ বছর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম জেলার পিপি হলেন শেখ ইফতেখার সাইমুল
পরবর্তী নিবন্ধকৃষ্ণপদ রায় চট্টগ্রামের নতুন পুলিশ কমিশনার