৩ লাখ মানুষে মুখর সৈকত, আড়াইশ প্রতিমা বিসর্জন

কক্সবাজার

কক্সবাজার প্রতিনিধি | সোমবার , ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ at ৭:১১ পূর্বাহ্ণ

দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে গতকাল রোববার বিকালে কক্সবাজার সৈকতে প্রায় ৩ লাখ মানুষের মিলনমেলা বসে। নানা ধর্মের ও বর্ণের মানুষের উপস্থিতিতে সৈকত পরিণত হয় জনারণ্যে। গতকাল দুর্গাপূজার শেষ দিন বিসর্জনের জন্য কক্সবাজার শহর, সদর উপজেলা, ঈদগাঁও উপজেলা, উখিয়া, টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ট্রাক বোঝাই করে কক্সবাজার সৈকতে আনা হয় আড়াই শতাধিক প্রতিমা। প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে লাবনী পয়েন্টে নির্মিত হয় বিশাল বিজয়া মঞ্চ। বেলা ৩টা থেকে মঞ্চে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিজয় দশমীর আলোচনা সভা। বিকেল পাঁচটায় মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। সাড়ে পাঁচটার মধ্যে বিষাদ মনে একে একে ভাসিয়ে দেয়া হয় প্রায় আড়াই শত প্রতিমা।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চারদিনের সরকারী ছুটিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজারে এসেছেন কয়েক লাখ পর্যটক। গতকাল রোববার বিকালে কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি স্থানীয় ও পর্যটকদের উপস্থিতিতে প্রায় ৩ লাখ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় কক্সবাজার সৈকত। এ যেন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল চিত্র।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দীপক শর্মা দিপুর সঞ্চালনায় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা প্রশাসক মো. সালাউদ্দিন, পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ, র‌্যাব১৫ এর সিও এইচএম সাজ্জাদ হোসেন, কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজা, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্না প্রমুখ।

প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহনীর সদস্যরা। সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে ছিল তাদের নিরাপত্তা বলয়। সাদা পোশাকধারী ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য ছাড়াও জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম সার্বক্ষণিক মাঠে ছিল। সিসি ক্যামেরা, ড্রোনসহ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল পুরো সমুদ্র সৈকত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার এলপি গ্যাসবাহী দুটি জাহাজে বিস্ফোরণ, আগুন
পরবর্তী নিবন্ধফিশারিঘাট-পাহাড়তলী বাজার থেকে ৩০ কেজি ইলিশ জব্দ