৩ নম্বর স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন

মেজর সিনহা হত্যা মামলা

কক্সবাজার প্রতিনিধি | রবিবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১০:১৩ অপরাহ্ণ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় টানা চারদিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর)।

প্রথমদিন মামলার ৩ নম্বর স্বাক্ষী মোহাম্মদ আলী’র সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামীদের পক্ষে জেরা সম্পন্ন হয়।

আগামীকাল সোমবার আদালতে মামলার স্বাক্ষী টেকনাফের শামলাপুরের মৃত লাল মিয়ার ছেলে ফিরোজ আহমদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম চলবে আগামী বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত।

আজ রবিবার সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য চার্জশীটের ৩ থেকে ৬ নম্বর স্বাক্ষীকে সমন দেওয়া হয়েছিল। তারা হলেন টেকনাফের মিনা বাজারের কাজি ঠাণ্ডা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী, টেকনাফের শামলাপুরের ডা. মৃত ফজল করিমের ছেলে আবদুল হামিদ, শামলাপুরের নুরুল ইসলামের ছেলে মো. ইউনুছ এবং শামলাপুরের মৃত লাল মিয়ার ছেলে ফিরোজ আহমদ।

এছাড়া ৬ সেপ্টেম্বর সোমবার চার্জশীটের ৭ থেকে ১০ নম্বর স্বাক্ষী, আগামী মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) ১১ থেকে ১৩ নম্বর স্বাক্ষী এবং ৮ সেপ্টেম্বর বুধবার ১৪ নম্বর স্বাক্ষীকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির থাকার জন্য সমন জারি করা হয় বলে জানান কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল।

তিনি জানান, চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন রবিবার মামলার ১৫ আসামীকেও কড়া নিরাপত্তার মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়।

এ আলোচিত মামলার আসামীরা হলেন টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, তার দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কন্সটেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কন্সটেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কন্সটেবল মো. রাজীব, মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

এর আগে গত ২৩ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম দফায় টানা তিন দিনে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ও একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল। আর এর মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচার কার্যক্রম। এ মামলায় ৮৩ জন চার্জশীটভুক্ত সাক্ষী রয়েছেন। গত ২৭ জুন ফৌজদারী দন্ডবিধির ৩০২/২০১/১০৯/ ১১৪/১২০-খ/ ৩৪ ধারায় সকল আসামীর উপস্থিতিতে মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ জুলাই ঈদুল আযহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়ার এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলীতে খুন হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনার ৫ দিন পর ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।

চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্তের পর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেন মামলার তদন্তকারীরা কর্মকর্তা। চার্জশীটে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদোহাজারীতে কিশোর হত্যা মামলার ৬ আসামী জেল হাজতে
পরবর্তী নিবন্ধস্থগিত হয়ে গেল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার লড়াই