বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিকদের অবহিত করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ সরকারের তিন মন্ত্রী ও এক উপদেষ্টা। গতকাল সোমবার বিকাল ৪টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং শুরু হয়। ব্রিফিংয়ের সূচনা বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৮ অক্টোবর যা ঘটেছে তাতে আমরা মর্মাহত। যদিও অতীতে বিএনপি–জামায়াতের সহিংসতার অভিজ্ঞতা থাকায়, আমরা অতোটা বিস্মিত হইনি। দুঃখের সঙ্গে বলছি, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম তারা বদলাবে, কিন্তু তারা পাল্টায়নি। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে রাজনৈতিক সমাবেশ ঘিরে যে সহিংসতা হয়েছে, তা বিদেশি কূটনীতিকদের সামনে আমরা তুলে ধরেছি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর যা যা ঘটেছে, সবই কূটনীতিকদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ হত্যা, বিচারপতির বাসভবনে আগুন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা প্রভৃতি ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। এসবের ভিডিওচিত্র দেখিয়েছি। তারা দেখে স্তব্ধ হয়ে গেছেন। বিদেশি কূটনীতিকরা ব্রিফিংয়ে কী বলেছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, কূটনীতিকরা চুপ ছিলেন। তারা কোনো প্রশ্ন করেননি।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। ব্রিফিংয়ে ঢাকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইডেন, নেপাল, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।